চন্দ্রকোনা: যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে স্কুলের ভবন। যার জেরে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন পড়ুয়া থেকে শিক্ষকক সকলেই। তাঁদের অভিযোগ, যে পিলারের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে স্কুলটি সেই পিলার থেকে শুরু করে স্কুল ভবনের বেহাল দশা। এ দিকে, স্কুলের এই ধরনের পরিস্থিতি দেখে পড়ুয়াদের স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন অভিভাবকরা।
চন্দ্রকোনা ২ ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কালাকড়িঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রায় দশ বছর ধরে এমনই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেটি। ফলত যে কোনও মুহূর্তে ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। কারণ ভাঙাচোরা স্কুল বিল্ডিং, ক্লাস রুমের অবস্থাও প্রায় একই। ছাদের চাঙর ভেঙে বেরিয়ে গিয়েছে। প্রায়শই একটু-একটু করে খসে পড়ে চাঙড়।
আর দুর্ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই স্কুলের বেহাল রুম গুলিতে বন্ধ পঠন-পাঠন।বর্তমানে তিনটি রুমের মধ্যে গাদাগাদি করে পড়ুয়ারা পড়াশোনা করছে। এতে অসহায় বোধ করছেন শিক্ষকরা।
জানা গিয়েছে,কালাকড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০৮, শিক্ষক সংখ্যা ৪। ১৯৫৪ সালে স্থাপিত এই বিদ্যালয়ের কংক্রিট বিল্ডিংয়ের বর্তমানে এমনই বেহাল দশা। ক্লাস রুম থেকে অফিস রুম এমনকি স্কুলের বারান্দাতে ছাদের চাঙড় ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে লোহার রড, তা যখন-তখন খসে পড়ে। একটু বিপদ বুঝলে তা খসে পড়ার আগে লাঠি দিয়ে শিক্ষকেরা ছাড়িয়ে ফেলেন।
এই বিষয়ে স্কুলের শিক্ষকরা জানিয়েছেন, অফিস রুম,মিড ডে মিল ও ক্লাস রুমের অবস্থা বেহাল। আলাদা তিনটি ছোট রুম ভাল থাকায় তার মধ্যেই ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে গাদাগাদি করে চলছে পঠনপাঠন। একটি রুমে দুটি ক্লাস হওয়ার কারণের জন্য পড়াশোনার ব্যাঘাত ঘটছে এবং করোনা বিধি নিষেধ পালনেও সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে জানায় ছাত্রছাত্রী থেকে শিক্ষকরা।
অভিভাবক থেকে শিক্ষকদের সকলের দাবি,দ্রুত স্কুল বিল্ডিং মেরামত করা হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক অরুণ পাত্র বলেন, প্রত্যেক বছরই অন্যান্য খাতের টাকা নিয়ে তা ব্যায় করে এস্টিমেট করে প্রায় আট বৎসর ধরে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে তারা আবেদন জানাচ্ছেন।কিন্তু স্কুল বিল্ডিং মেরামতের কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এখন দেখার কবে এই ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল মেরামতের উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।
চন্দ্রকোনা ২ নং ব্লকের বিডিয়ো অমিত ঘোষ বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানি। দ্রুত ইঞ্জিনিয়র পাঠিয়ে ওই স্কুলটি মেরামত করা হবে।’ পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, ‘আমি শিক্ষকদের নির্দেশ দিয়েছি ভবনের যে দিকটা একদম খারাপ সেই দিকটায় যেন পঠন-পাঠনের ক্লাস না চলে।’