মেদিনীপুর: বিয়ের বাড়ির মরশুম। তাই সকলে মিলে গিয়েছিলেন নিমন্ত্রণ খেতে। ফাঁকাই ছিল গোটা ঘর। এবার যখন গৃহকর্তা বাড়ি ঢোকেন কার্যত থ। এ কী! গোটা ঘরে কোথাও পড়ে মিষ্টির প্যাকেট। কোথাও আবার পড়ে চকোলেটের প্যাকেট। কিন্তু কে খেয়েছে? বাড়িতে তো কেউ ছিল না। পরে আলমারির দিকে তাকাতেই সবটা পরিষ্কার হয়ে গেল জলের মতো। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ঘরের ভিতরে প্রবেশ করেছে চোরের দল। জিনিসপত্র যা নেওয়ার তা তো নিয়ে গিয়েছেই। পাশাপাশি ফ্রিজ খুলে মিষ্টি খেয়েছে। বাদ যায়নি চকোলেটও। সেইটাও সাঁটিয়েছে। আর চোরের এই কাণ্ড দেখে কার্যত চক্ষু চড়কগাছ।
মেদিনীপুর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডের তোলপাড়া এলাকার ঘটনা। বাড়ির মালিক নীলকমল অট্ট ও প্রণতি অট্ট সহ বাড়ির লোকজন গিয়েছিলেন বিয়ে বাড়িতে। নিমন্ত্রণ বাড়িটি ছিল বসন্তপুর এলাকায়। ফলে ঘরে ছিলেন না কেউ। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে চোরের দল ঘরে প্রবেশ করে। চুরি করে নিয়ে যায় বাড়ির সমস্ত কিছু। বাদ দেয়নি গৃহস্থের বাজারও । প্যাকেট তেল থেকে পশু খাদ্য সহ বাড়ির দামি জিনিসপত্র সবই নিয়ে হাতিয়েছে তাঁরা। শুধু তাই নয়, গৃহকর্তা জানিয়েছেন, বাড়িতে বসে সারারাত ফ্রিজ থেকে মিষ্টি বের করে খেয়েছে। চকলেট খেয়েছে। তারপর বাড়িতে চুরি করেছে। প্রণতি অট্ট বলেন, “আমরা দু’তিন দিন ঘরে ছিল না। বাড়িতে এসে চুরি করেছে। দু-তিনটে আলমারি ভেঙেছে। প্রায় চল্লিশ হাজার টাকা নগদ, ৮ লক্ষ টাকার সোনার গহনা সব নিয়ে পালিয়েছে। শুধু তাই নয়, ফ্রিজ খুলে মিষ্টি খেয়েছে, চকোলেট খেয়েছে। সারা ঘর নোংরা করেছে।”
রবিবার সকালে বাড়ির লোকজন বাড়ি ফিরে দেখে বাড়ি ফাঁকা। জানলার গ্রিল ভাঙা। ফলত, পরিবারের সদস্যদের আর বুঝতে অসুবিধা হয়নি, এই গ্রিল ভেঙেই বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করেছিল চোরেরা। ইতিমধ্যেই পুরো বিষয় নিয়ে থানায় জানানো হয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।