Paschim Medinipur: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিদ্যাসাগরের বাড়ি, ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ‘ইঁদুরে মাটি গর্ত করে দিয়েছে’

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Jul 05, 2022 | 4:43 PM

Paschim Medinipur: মঙ্গলবার ভেঙে পড়া বাড়িটি পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক আধিকারিক তথা বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কর্ম-কর্তারা।

Paschim Medinipur: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বিদ্যাসাগরের বাড়ি, ইঞ্জিনিয়ার বললেন, ইঁদুরে মাটি গর্ত করে দিয়েছে
ভেঙে পড়ল বিদ্যাসাগরের বাড়ি (নিজস্ব ছবি)

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দেড়শো বছরের ঐতিহাসিক বাড়ি। ঠিকাদারি সংস্থার অপরিকল্পিত কাজের জন্যই কাজ চলাকালীন এই অবস্থা এমনটাই দাবি এলাকাবাসীর। এ দিকে, বিদ্যাসাগরের তৈরি এই বাড়ি ভেঙে পড়ায় মন ভার বীরসিংহবাসীর। দেড়শো বছরের পুরনো এই বাড়ি ভেঙে পড়ায় ক্ষোভ দেখা দিয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে। যার জেরে রাজনৈতিক ব্যাখা তুঙ্গে।

মঙ্গলবার ভেঙে পড়া বাড়িটি পরিদর্শন করলেন প্রশাসনিক আধিকারিক তথা বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটির কর্ম-কর্তারা। বাড়িটির সংস্কার চলাকালীন কীভাবে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ছাড়া হঠাৎ ভেঙে গেল তার পূর্ণ তদন্তে নেমেছেন বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথরিটি। ইতিমধ্যেই ভেঙে পড়ার কারণ হিসেবে সামনে এসেছে ঠিকাদারের অপরিকল্পিতভাবে চালিয়ে যাওয়া সংস্কারের কাজ।
জানা গিয়েছে, বিদ্যাসাগরের এই বাড়িটির সংস্কার সহ অন্য আরও একটি নির্মাণ কাজের জন্য মোট বরাদ্দ ব্যায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকা। কাজের দায়িত্ব নিয়েছে PWD। প্রশাসন সূত্রে খবর, PWD কাজ করার জন্য বরাত দেয় অপর এক ঠিকা কর্মীকে।

এই বাড়িটি ভেঙে পড়ায় ঠিকাদার সংস্থার উপর বেজায় চটেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা জানাচ্ছেন ঠিকাদার সংস্থা এই কাজের কিছুই জানেন না। অপরিকল্পিতভাবে এই কাজ করছিল তাঁরা। এই কাজ করার জন্যই এভাবে হেরিটেজ বিল্ডিংটি হঠাৎ ধসে পড়ল।

প্রসঙ্গত, বীরসিংহকে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলে, বিদ্যাসাগরের সমস্ত স্মৃতিকে সংরক্ষণ করে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক আস্তে-আস্তে সাজিয়ে তোলা হচ্ছিল। এই সবের মধ্যেই ভেঙে পড়ে বাড়িটি।

২০১৯ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বীরসিংহে এসে এটিকে হেরিটেজ বিল্ডিং হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। তারপরেই সংরক্ষণের উদ্দেশে শুরু হয়েছিল সংস্কারের কাজ। সেই বাড়িটির এক অংশ ভেঙে পড়ল সোমবার বিকেলে। এ দিন, বাড়িটি পরিদর্শনে ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক তথা বীরসিংহ ডেভেলপমেন্ট অথোরিটির মেম্বার সেক্রেটারি সুমন বিশ্বাস, ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুলক প্রামাণিক, ঘাটালের বিডিও সঞ্জিব দাস, ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ প্রশান্ত রায় প্রমুখ। যদিও, এই বিষয়ে ঘাটাল মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাস ক্যামেরা সামনে কিছু বলেননি।

এ বিষয়ে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ার অঞ্জন মিত্র বলেন, ‘আমি আপনাদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য এখানে আসিনি।’ এক প্রকার সংবাদ মাধ্যমের বুম হাত থেকে ঠেলে সরিয়ে দেন তিনি। তারপর একাধিক অজুহাত দেখিয়ে বলেন, ‘মালপত্রের কোনও ত্রুটি ছিল না। ইঁদুরে মাটি গর্ত করে দেওয়ার ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। যদিও যদিও, গ্রামের মানুষ ইঞ্জিনিয়ারের এই কথা মানতে নারাজ।

 

Next Article