June Malia: অঙ্কতেই গরমিল, জুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ডই ‘মিথ্যা’! পরীক্ষার ফল প্রকাশের আবহে বিজেপি-র বড় হাতিয়ার
June Malia: পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড ও দুটি ব্লক নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা। আর সেই বিধানসভা এলাকাতে গত তিন বছরে তিনি একটি কী কী কাজ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেছেন একটি পুস্তিকা আকারে । আর সেখানে প্রায় ১৫ কোটির বেশি হিসাব দেখানো হয়েছে, যা মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় কাজ করা হয়েছে।
মেদিনীপুর: মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল! তার মধ্যে রাজনৈতিক নেতাদেরও কার্ড পেশ হচ্ছে! রিপোর্ট কার্ড! গত পাঁচ বছরে এলাকায় কী উন্নয়ন হয়েছে, তা সবই উল্লেখ করা হচ্ছে রিপোর্ট কার্ডে, তা জনসমক্ষে পেশ করা হচ্ছে। কিন্তু জুুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়েই উঠল বিস্ফোরক অভিযোগ। বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা রিপোর্ট কার্ড পেশ করেছেন জুন মালিয়া। মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়ার রিপোর্ট কার্ড নিয়ে কাটাছেঁড়া বিশ্লেষণ শুরু করেছে বিজেপি। সেখান থেকে বিজেপির বক্তব্য, মিথ্যা রিপোর্ট কার্ড মানুষের কাছে দেখানো হচ্ছে। সেখানে দেওয়া সংখ্যাতত্ত্বে গড়মিল রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত তিন বছর ধরে মেদিনীপুর বিধানসভার বিধায়ক জুন মালিয়া। গত তিন বছরে তিনি তাঁর বিধানসভা এলাকায় কী কাজ করতে পেরেছেন, তার একটা হিসাব তুলে ধরেছেন এই রিপোর্ট কার্ডের মাধ্যমে। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নেতৃত্বকে পাশে বসিয়ে রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছেন।
পৌরসভার ২৫ টি ওয়ার্ড ও দুটি ব্লক নিয়ে মেদিনীপুর বিধানসভা। আর সেই বিধানসভা এলাকাতে গত তিন বছরে তিনি কী কী কাজ করেছেন, তার হিসাব তুলে ধরেছেন একটি পুস্তিকা আকারে। আর সেখানে প্রায় ১৫ কোটির বেশি হিসাব দেখানো হয়েছে, যা মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় কাজ করা হয়েছে।
আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি । বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, একজন বিধায়ক গত তিন বছরে কত কোটি টাকা পান সরকারিভাবে? নিয়ম অনুযায়ী, তিনি পাবেন তিন বছরে ১ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা, কীভাবে বিধায়ক গত তিন বছরে প্রায় ১৫ কোটি টাকারও বেশি হিসাব দেখাচ্ছেন তিনি।
অভিযোগ, যে হলে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পকে নিজের প্রকল্প হিসাবে দেখাচ্ছেন জুন। আর নতুবা অন্য কোন প্রকল্পের টাকা যেখানে খরচ হয়েছে সাধারণ মানুষের স্বার্থে, সেই প্রকল্পের টাকাকেও তিনি নিজের তহবিলের টাকার খরচ হিসাবে দেখাচ্ছেন। বিজেপির অরূপ দাসের অভিযোগ, ভুল রিপোর্ট কার্ড তৈরি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।
বিজেপির অরূপ দাসের আরও অভিযোগ, মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় যে সমস্ত জায়গায় সরকারি কাজ যা MKDA বা মেদিনীপুর পৌরসভা, পঞ্চায়েত দফতরের কাজ, সেগুলিও জুন নিজের তহবিলের কাজ বলেই দেখিয়েছেন।
বিজেপির এই অভিযোগ নিয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি নির্মাল্য চক্রবর্তীর দাবি, “বিজেপি শুধু অভিযোগই করতে জানে। তারা কাজ করতে জানেনা । আমাদের সৎ সাহস রয়েছে, তাই আমরা রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করেছি। বিধায়ক তাঁর তত্ত্বাবধানে এ সমস্ত কাজ করিয়েছেন তারই হিসাব দিয়েছেন।” এই নিয়ে অবশ্য জুন মালিয়ার কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।