খড়্গপুর: রাতভর মস্তি, হুল্লোড়। আত্মীয়ের বিয়েতে কনেযাত্রীরা সকলেই মজা করেছেন। বিয়ে মিটিয়ে ফিরছিলেন বাড়িতে। ভোর রাতের বাস ছিল। দূরের পথ, তাই মোটামুটি অন্ধকার থাকতেই রওনা দিয়েছিলেন তাঁরা। রাতভর অনুষ্ঠানের পর বাসে সকলেরই চোখ বুঝে এসেছিল। চোখ খুলল আচমকা বিকট একটা শব্দে। আর ততক্ষণে তাঁরা বাসের ভিতর এক অপরের ঘাড়ে পড়েছেন। কেউ ছিটকে পড়েছেন অনেকটা দূর। বাস ততক্ষণে উল্টে হেলে গিয়েছে এক পাশে। বউভাতের অনুষ্ঠান সেরে ভোরে ফেরার পথে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। ঝাড়গ্রাম থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার কুকড়াহাটির উদ্দেশে ফিরছিল এক কনে যাত্রী বোঝাই বাস। বাসে ছিলেন প্রায় ৫০ জন কনে যাত্রী। খড়্গপুরের রূপনারায়ণপুরে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রথমে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে বাসটি। এরপরই যাত্রী-সহ বাসটি পাল্টি খেয়ে পড়ে। ঘটনায় গুরুতর আহত হন অন্তত ১০ জন করে যাত্রী। ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদের দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় খড়গপুর লোকাল থানার পুলিশ।
জানা যাচ্ছে, ঘটনার পরে এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয় বাসের ড্রাইভার। তবে আহত হন বাসের হেলপার। তিনি বাসের ভিতর আটকে পড়েছেন। দুর্ঘটনার পর পুলিশি তৎপরতায় অন্যান্য কনে যাত্রীদের বাসে করে রওনা করা হয় তাঁদের গন্তব্যে। সাত সকালেই এই ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
জানা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রাম থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের সুতাহাটা থানার কুকড়াহাটি দিকে যাচ্ছিল বাসটি। কনেযাত্রী বোঝাই বাসটির গতিবেগ স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। বাসটি যখন দুর্ঘটনার মুখে পড়ে, তখন বেশিরভাগ যাত্রীরাই ঘুমোচ্ছিলেন। তাই সেভাবে কারণ বলতে পারছেন না কেউ। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, গতিবেগ বেশি থাকার কারণেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায় বাসটি। চালক মদ্যপ ছিলেন কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।