মেদিনীপুর : আগামী ১০ মে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১০ মে এবং ১১ মে – এই দুই দিন পশ্চিম মেদিনীপুরে জেলায় থাকবেন তিনি। প্রথম দিনে অর্থাৎ, ১০ মে একটি প্রশাসনিক বৈঠক রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। এরপর ১১ মে দলীয় কর্মসূচি রয়েছে মমতার। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে একটি দলীয় সভার আয়োজন করা হয়েছে, ওই সভায় বক্তব্য রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগে শনিবার মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্ব নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক সেরে নিলেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। দুই সাংগঠনিক জেলার কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির নেতৃত্বে শনিবারের এই বৈঠকের আয়োজন করা হয় মেদিনীপুর শহরের জেলা পরিষদের হলে। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব, তৃণমূলের বিধায়ক ও মন্ত্রীরা নিয়ে এই বৈঠক। এর পাশাপাশি জেলা পঞ্চায়েতের নেতৃত্ব ছিলেন শনিবারের এই বৈঠকে।
১১ মে তৃণমূল সুপ্রিমোর সভার আগে যাতে কোনওরকম খামতি না থেকে যায়, তা নিশ্চিত করতেই শনিবার এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। এখনও পর্যন্ত যা খবর, তাতে জেলার ৪ হাজার ৬০০ টি বুথ থেকে নেতা ও কর্মীরা আসবেন ১১ মে-র জনসভায়। বিধানসভা নির্বাচনের পর এই প্রথম বুথ স্তরের কর্মীদের মধ্যে নতুন বার্তা দিতে আসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “আমাদের সহকর্মীরা খুশিতে ডগমগ করে আনন্দে ভাসছে। হাজার হাজার কর্মী এখানে আসার জন্য মুখিয়ে আছেন। ঘাটাল ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক ইউনিট একসঙ্গে সবাই মিলিত হয়েছে। দিদির আসার সংবাদে সবাই এতটাই উৎফুল্ল, যে আমরা মাঠে সবাইকে জায়গা দিতে পারব কি না, তা নিয়ে সন্দেহ থাকছে।”
এর পাশাপাশি জেলায় উন্নয়নের খতিয়ানও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “আমাদের জেলা ১০০ দিনের কাজে প্রথম, কন্যাশ্রীতে প্রথম, রাস্তা নির্মাণে প্রথম, রেশন বন্দোবস্ত সুচারুভাবে চলছে, স্কুল পরিকাঠামো নির্মাণে আমরা প্রথম। সব দিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাকে ভরিয়ে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি যে মাওবাদীদের জিগির বিজেপি বা সিপিএমের পক্ষ থেকে তোলা হচ্ছিল, সাত জন গ্রেফতার হওয়ার পর তা প্রমাণ হয়ে গেল, তারা সবাই বিজেপির সমর্থক। মাওবাদীদের সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই। বন্ধ বালি খাদান খোলার জন্য তারা এই সব করছিল।”
এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর মেদিনীপুর সফরের আগেই পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা শনিবার বৈঠকে বসেন মেদিনীপুর কলেজ মাঠে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় স্পেশাল সিকিউরিটি গার্ড ও জেলা পুলিশের অফিসারদের মধ্যে। ১১ তারিখ বিশেষ কর্মিসভার আয়োজন করা হয়েছে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে। তার আগে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয় কলেজ মাঠ প্রাঙ্গনে। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সহ অন্যান্য পদস্থ অফিসাররা। ঠিক কীভাবে কর্মীদের মাঠে প্রবেশ করানো হবে এবং মাঠের কোন জায়গায় মুখ্যমন্ত্রীর জন্য মঞ্চ তৈরি করা হবে সেই সব বিষয় নিয়েও আলোচনা করা হয় এ দিন। সবমিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আঁটসাঁট করতে প্রস্তুতি তুঙ্গে পুলিশ কর্তাদের মধ্যেও।