মেদিনীপুর: বন্যার জল নামলেই শুরু হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ ঘাটালে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে বললেন সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানসরঞ্জন ভুঁইঞা।
শুক্রবার ঘাটালে বন্যা পরিদর্শনে আসেন মন্ত্রী মানসরঞ্জন। ঘাটালের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতে দন্দিপুর এলাকায় বন্যাকবলিত এলাকায় মানুষের হাতে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন। এরপর ঘাটাল মহকুমা শাসকের দফতরে একটি প্রশাসনিক বৈঠক শেষে মন্ত্রী মানষ বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছেন ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান হবে’।
মেদিনীপুরের ৩২ হাজার হেক্টর কৃষি জমি জলের তলায়, চরম ক্ষতির মুখে কৃষকরা। মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের পাশে রয়েছেন বলেও আশ্বস্ত করেন মানস। প্রত্যেক ব্লকে ব্লকে জানানো হয়েছে কৃষকরা যাতে বিমার ফর্ম ফিলাপ করেন। ডিভিসি ছাড়া জলেই প্লাবন দাবি মানসের। বন্যার জল কমলেই শুরু হবে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কাজ ঘাটালে বন্যা কবলিত এলাকা ঘুরে এমনই জানালেন মন্ত্রী মানস।
ঘাটাল-সহ পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। প্লাবিত ঘাটালে শুক্রবারও দুর্গতদের ত্রাণ বিতরণ করেন জেলাশাসক-সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। ঘাটালের অজবনগর এলাকায় বন্যার জলে দেখা যায় বিষধর কেউটে সাপ। ভুটভুটি করে ঘাটালের মনসুকা এলাকায় বন্যার্তদের শুকনো খাবার ত্রিপল, ত্রাণ-কিট-সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রিক এলাকার মানুষদের হাতে তুলে দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি। রয়েছেন পিএইচ দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি সুরেন্দ্র গুপ্তা, ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস-সহ প্রশাসনের বিভিন্ন আধিকারিকরা।