মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিক্ষোভ-ঘেরাও। প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। অভিযোগ, কর্মবিরতি তুলতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের। তৃণমূলের চিকিৎসক নেতা সেই হুমকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের বক্তব্য, মেডিক্যাল কলেজের টিএমসিপি ইউনিট ভয় দেখাচ্ছে আন্দোলনকারীদের। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার অধ্যক্ষের অফিস ঘরের সামনে বিক্ষোভ দেখান আন্দোলনকারীরা।
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)
এদিন ছাত্ররা দাবি করেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা হুমকি দিচ্ছেন। মুস্তাফিজুর রহমান নামে এক ছাত্রের কথা বলেন তাঁরা। মুস্তাফিজুর-সহ বেশ কয়েকজনকে বহিষ্কারের দাবি তুলে এদিন অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসেন জুনিয়র ডাক্তাররা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা বৈঠকের পর ৩টে ৪০ নাগাদ অধ্যক্ষের রুমের সামনে বসেই স্লোগান দিতে থাকেন জুনিয়র ডাক্তাররা। যতক্ষণ না ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ততক্ষণ অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে রাখা হবে বলেও জানান তাঁরা। যদিও যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেই মুস্তাফিজুরের সঙ্গে কোনওভাবেই যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, বুধবার টিএমসিপির প্রতিষ্ঠাদিবসের মঞ্চ থেকে দলনেত্রীর বার্তা কি এখানে অনুঘটকের কাজ করল। বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবেদন জানিয়েছিলেন, এবার চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন। ঠিক যেমন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে। এই মঞ্চ থেকেই মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ফোঁস করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অশান্তি চাই না, কিন্তু কুৎসা-অপপ্রচার-চক্রান্ত করে যে রোজ আপনাকে কামড়াচ্ছে, আপনি কামড়াবেন না। কিন্তু ফোঁস তো করতে পারেন। চক্রান্তকারীদের মুখোশ খুলে দিয়ে ফোঁস করতে শিখুন।” মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, তিনি ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে একটি কথাও বলেননি। কিছু মানুষ তাঁকে অভিযুক্ত করছেন। এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।