খড়গপুর: কয়েক সপ্তাহ আগেই ছেলেকে হোস্টেলে রেখে মেদিনীপুরে ফিরে এসেছিলেন বাবা-মা। তারপর যে ছেলের নিথর দেহ ফিরবে কে ভেবেছিল। হোস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল মেধাবী ছাত্রের।
মৃতের নাম সৌরদীপ চৌধুরী।
চলতি বছরে মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে ৭৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাস করেন সৌরদীপ। এরপর অন্ধ্রপ্রদেশের কে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিটেক কোর্সে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। জুলাই মাসের ১৭ তারিখ মেদিনীপুর থেকে গুন্টুর পৌঁছন সৌরদীপ ও তাঁর বাবা সুদীপ চৌধুরী ও তাঁর মা। ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে পৌঁছে দিয়ে মেদিনীপুরে ফিরে আসেন তাঁরা।
মৃতের পরিবারের অভিযোগ, ২৪ তারিখ সুদীপবাবুর কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে একটি ফোন আসে। জানানো হয় হোস্টেলের হোস্টেলের ১১ তলা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের ছেলের।
ছেলের এই পরিণতির খবর পেয়েই আঁতকে ওঠেন বাবা-মা। গোটা আকাশ যেন মাথায় ভেঙে পড়ে তাঁদের। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বাবা সহ পরিজনরা পৌঁছন অন্ধ্রে। বুধবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর মৃতের দেহ নিয়ে আসা হয় মেদিনীপুরে।
সৌরদীপের বাবা সুদীপ চৌধুরীর অভিযোগ, তাঁর ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেন না। ভারী কোনও বস্তু দিয়ে মেরে খুন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের জন্য গুন্টুরের তাডেপল্লী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সুদীপবাবু। এ দিকে, ছাত্রের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।