মেদিনীপুর: এলাকায় রয়েছে PHE অফিস। আর সেই এলাকা থেকে জল যাচ্ছে অন্য এলাকায়, কিন্তু যেখানে পানীয় জলের অফিস রয়েছে, সেই এলাকারই মানুষ পাচ্ছেন না পানীয় জল। হাহাকার। প্রত্যন্ত এলাকায় জনকষ্ট মেটাতে কড়া নির্দেশ দিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী। অতি সম্প্রতি বৈঠকে পিএইচই কর্তাদের কড়া ধমকও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এরপরেও জল কষ্টের হাত থেকে মুক্তি পেল না জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রাম কুণ্ডলবনি। নেতাদের প্রতিশ্রুটিই সার। কবে মিটবে জল সঙ্কট তা নিয়ে ধন্দে গ্রামবাসীরা। বিরোধীদের নিশানায় শাসক দল। কোনওক্রমে দায় এড়িয়েছে পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা।
চাদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুন্ডলবনি গ্রাম। কংসাবতী নদীর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আর এই গ্রামেই দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে জনসঙ্কট। জল সঙ্কট মেটাতে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে বছর খানেক আগে গ্রামে হয়েছে সজল ধারা প্রকল্পের কাজ। বসানো হয়েছে সাবমার্সিবল পাম্প। তবে দিন কয়েক চলার পরেই সেই পাম্প খারাপ হয়ে যায়। ফলে গ্রামবাসীদের পড়তে হয় চরম সমস্যার মুখে। ১ থেকে দেড় কিলোমিটার হাটা পথ পেরিয়ে গ্রামের বাইরে থেকে পানীয় জল সংগ্রহ করতে হয় গ্রামবাসীদের।
গ্রামের মাঝে থাকা সাবমার্সিবল পাম্প এখন শুধুই ‘শোপিস ‘! ভোট এলেই নেতারা আসে গ্রামে, পানীয় জলের সংকট মেটাতে তাদের মুখে শোনা যায় ভুরিভুরি প্রতিশ্রুতি। কিন্তু আজও এই প্রতিশ্রুতি রয়ে গিয়েছে খাতায়-কলমেই। শুধু পানীয় জল নয় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে নিত্যদিন অন্যান্য কাজে ব্যবহৃত জল নিয়েও। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত এই গ্রামে কবে মিটবে জল সঙ্কট, এ নিয়ে ধন্দে গ্রামের মানুষেরা। জল সঙ্কট কবে মিটবে? জল সঙ্কটের খবর নেই বলেই দায় এড়িয়েছেন চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা তারকনাথ বেরা। অন্যদিকে শাসক দল তৃণমূলকে কড়া ভাষায় নিশানা করেছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। রাজনৈতিক তরজা যাই থাকুক না কেন কত দিনে সমস্যা মিটবে সাধারণ গ্রামবাসীদের এটাই এখন সব থেকে বড় প্রশ্ন।
বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “আর তো কিছুদিন পরেই গরমকাল পড়ে যাবে, তখন কী পরিস্থিতি হবে ভাবুন। আসলে এটা কেবল চাঁদরা অঞ্চলের বিষয় নয়, মেদিনীপুরের প্রত্যেকটা অঞ্চল, যেখানে যেখানে তৃণমূল রয়েছে, কোথাও কোনও উন্নয়ন হয়নি।”