পশ্চিম মেদিনীপুর: ভাটা চলছিল। তাই বিপদ আঁচ করতে পারেননি বৃ্দ্ধ। নদীতে নেমেছিলেন স্নান করতে। কিন্তু আচমকাই সেই জলের টানেই তলিয়ে গেলেন তিনি। সাঁতরে কোনওভাবেই পাড়ে আসতে পারেননি। রূপনারায়ণের ভাটার জলে তলিয়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। রাতভর চলে খোঁজ। মঙ্গলবার সাত সকালে রূপনারায়ণ নদীর জল থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। মৃতের নাম গৌর খাটুয়া (৬৫)। বাড়ি দাসপুরের কৈজুড়ি এলাকায়।
পরিবার সূত্রে খবর সোমবার সন্ধ্যায় বাড়ির পাশেই রূপনারায়ণ নদীর মনসাতলা ঘাটে স্নান করতে নামেন গৌর। পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন, এই প্রথম নয়, মাঝেমধ্যেই গরমে নদীতে স্নান করতে যেতেন তিনি। এদিন যে সময় স্নান করতে গিয়েছিলেন, তখন ভাটা চলছিল। জলের সেভাবে তোড় থাকার কথা না। কিন্তু সোমবার কোটাল থাকায় জলের তোড় ভাটার সময়েও বেশি ছিল। কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা বোঝা যাচ্ছে না।
সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হলেও বাড়ি ফেরেননি গৌর। পরিবারের লোকেদের সন্দেহ হয়। আশপাশের এলাকাগুলিতে খোঁজ শুরু করেন। নদীর ধারে চটি ও গামছা পরে থাকায় সন্দেহ হয় গ্রামবাসীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের মারফত খবর যান থানায়।
রাতে নদীতে নেমে খোঁজও করা হয়। মঙ্গলবার সকালে নদীতেই ভেসে ওঠে গৌরের দেহ। স্থানীয় বাসিন্দারাই প্রথম দেখতে পান। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে শনাক্ত করেন। দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায় পুলিশ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে ঘাটালে।
ঘাটাল জেলা বিজেপি সভাপতি আশিস হুদাইত বলেন, “জলের তোড় চলে আসায় কোনওভাবেই ওই ব্যক্তি ডাঙায় ফিরতে পারেননি। পরিবারের লোকরা অনেক খোঁজ করেন। আমরাও নদীতে নৌকা লাগিয়ে খোঁজ চালাই রাতে। কিন্তু অন্ধকারে সমস্যা হচ্ছিল। সকালে দেহ ভেসে ওঠে।”