Paschim Medinipur: ছোট্ট শরীরে সিঁদুর মাখিয়ে বসিয়ে রাখা জানালায়, বলি দেওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া সারা,তারপরই… মেদিনীপুরে হাড়হিম ঘটনা

Paschim Medinipur: জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রঞ্জিত রুইদাস। গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ওই শিশু। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁচ বছরের শিশুকে তাঁর মা ঘুম পাড়িয়ে রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এসে বাচ্চাকে না দেখতে পেয়ে খোঁজ শুরু করেন।

Paschim Medinipur: ছোট্ট শরীরে সিঁদুর মাখিয়ে বসিয়ে রাখা জানালায়, বলি দেওয়ার সমস্ত প্রক্রিয়া সারা,তারপরই... মেদিনীপুরে হাড়হিম ঘটনা
শিশুকে বলি দেওয়ার চেষ্টা রুখলেন গ্রামবাসীImage Credit source: Tv9 Bangla

| Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Mar 29, 2025 | 6:01 PM

পশ্চিম মেদিনীপুর: পাঁচ বছরের ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন মা। ফিরে দেখেন সন্তান নেই। কান্নাকাটি শুরু করেন। চলে খোঁজাখুঁজি। পরে এলাকার বাসিন্দার চোখে পড়ে শিশুটিকে। প্রতিবেশী এক ব্যক্তির জানলায় সিঁদুর মেখে বসে রয়েছে সে। আর ওই প্রতিবেশী বলির প্রস্তুতি করছেন। তারপর…। শিউরে ওঠার মতো এমন ঘটনা ঘটেছে এই বাংলায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের সারগা গ্রামে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম রঞ্জিত রুইদাস। গড়বেতা তিন নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ওই শিশু। স্থানীয় সূত্রে খবর, পাঁচ বছরের শিশুকে তাঁর মা ঘুম পাড়িয়ে রেখে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরেই ফিরে এসে বাচ্চাকে না দেখতে পেয়ে খোঁজ শুরু করেন। চারিদিকে খোঁজাখুঁজির পর এক প্রতিবেশী দেখতে পান পাশের বাড়ির একটি বন্ধ রুমের জানালাতে বাচ্চাটি বসে আছে। গোটা গায়ে সিঁদুর মাখা। তড়িঘড়ি পরিবারের লোকজন গিয়ে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। আর তারপরেই অভিযোগ তোলে রঞ্জিত রুইদাসের উপর। স্থানীয়দের দাবি, তন্ত্র বিদ্যা শিখতে গিয়ে এই দুধের শিশুকে বলি দেওয়ার চেষ্টা করছিল রঞ্জিত। দ্রুত খবর দেওয়া হয় পুলিশে। গড়বেতার পুলিশ গিয়ে পাঁচ অভিযুক্তকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, বছরখানেক আগে থেকেই তান্ত্রিক বিদ্যা শিখছেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই ওই রঞ্জিতের উপর নজর রাখছিলেন প্রতিবেশীরা। শিশুটির মা বলেন, “আমি ছেলেকে শুয়ে দিয়ে আসি। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘরে ঢুকে দেখি ছেলের যতগুলো মাদুলি ছিল, ততগুলো কেটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর বাচ্চা নেই। এরপর খোঁজাখুঁজির পর দেখি বাচ্চাকে সিঁদুর মাখিয়ে রেখেছে। ওই লোকটা কামাখ্যা থেকে তন্ত্রবিদ্যা শিখে এসেছে।”