পশ্চিম মেদিনীপুর: সম্পত্তির লোভে বাবাকে খুন করে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। চঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের বলপাই ৯ নং অঞ্চলের পেরুয়া গ্রামে। বড় ছেলের ল্যাটিন চেম্বারের সেফটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল ব্যাক্তির মৃতদেহ। মৃত ওই ব্যাক্তির নাম সুভাষ প্রামানিক,আনুমানিক৬০ বছর।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্পত্তির জেরে দুই ছেলে দীপঙ্কর ও শুভঙ্করের সঙ্গে কয়েক বছর ধরেই বনিবনা চলছিল। প্রায় ১৬ দিন ধরে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর কোনওভাবেই খোঁজ না মেলায় গ্রামবাসীদের মধ্যে সন্দেহ দানা বাধে।
এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, যে দিন সুভাষ নিখোঁজ হন, সেদিন সন্ধ্যায় দুই ছেলের সঙ্গে ওই ব্যক্তির বচসা হয়। এমনকি মারপিটও হয় বলে জানান প্রতিবেশীরা। তাঁদের সন্দেহ হতেই গ্রামবাসীরা সবং থানায় গোটা বিষয়টি জানান। এরপর সোমবার পুলিশ গিয়ে বড় ছেলে দীপঙ্কর প্রামাণিকের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর বাবা সুভাষ প্রামাণিকের দেহ উদ্ধার করছে। বর্তমানে বড় ছেলে পলাতক। তাঁরর খোঁজ তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
এক প্রতিবেশী বলেন, “ওদের বাড়িতে রোজই চিৎকার চেঁচামেচি হত। আমরা শুনতেও পেতাম। মাঝেমধ্যে আটকানোর চেষ্টা করতাম। কিন্তু সেটা ওদের একান্তই পারিবারিক বিষয়। তাই সবসময় নাক গলানোও উচিত ছিল না। তবে ঘটনার আগের দিনও বিশাল ঝামেলার আওয়াজ পেয়েছিলাম। তারপর তো দেখি এই কাণ্ড।”
সুভাষকে দেখতে না পেয়েই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। তারপর তাঁরাই খবর দেন থানায়। পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। স্তম্ভিত হয়ে যান এলাকাবাসীরা।