Paschim Medinipur Body Recovered: দুই বন্ধুর সঙ্গে মাছ ধরতে যান, বাড়ির ছেলের অবস্থা দেখে পরিবার দিশেহারা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সঞ্জয় পাইকার

May 22, 2022 | 10:57 AM

Paschim Medinipur Body Recovered: সৌম্যদীপের পরিবারের তরফে প্রথমে দুই বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, সৌম্যদীপ নদীতেই রয়েছেন।

Paschim Medinipur Body Recovered: দুই বন্ধুর সঙ্গে মাছ ধরতে যান, বাড়ির ছেলের অবস্থা দেখে পরিবার দিশেহারা
যুবকের দেহ উদ্ধার (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: বন্ধুদের সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর বন্ধুরা ফিরে এলেও মাছ ধরার নেশায় নদীতে একাই থেকে যান যুবক। কিন্তু তারপর ঠিক কী ঘটল,সেটাই ধোঁয়াশা। সকালে নদী থেকে উদ্ধার হয় যুবকের নিথর দেহ। রাতভর নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরিবারের তরফ থেকে সম্ভাব্য সমস্ত জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। সকালেই শিলাবতী থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের দেহ। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণার চৈতন্যপুর গ্রামে। যুবকের মৃত্যু ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। মৃতের নাম সৌম্যদীপ প্রামাণিক (২৪)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুরের চৈতন্যপুর গ্রামের যুবক সৌম্যদীপ। শনিবার রাত আটটা নাগাদ সৌম্যদীপ তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ির সামনেই শিলাবতী নদীতে মাছ ধরতে যান। রাতে দুই বন্ধু ফিরে আসেন। বন্ধুদের বয়ান অনুযায়ী, সৌম্যদীপকে বাড়ি ফেরার কথা বললেও, তিনি আরও কিছুক্ষণ মাছ ধরার নেশায় একাই থেকে যান। দুই বন্ধু বাড়ি ফিরলেও, সৌম্যদীপ বাড়ি না ফেরার রাতে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়।

সৌম্যদীপের পরিবারের তরফে প্রথমে দুই বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পারেন, সৌম্যদীপ নদীতেই রয়েছেন। খবর পেয়ে সেখানেও খোঁজ করেন তাঁরা। কিন্তু শনিবার রাতে সৌম্যদীপকে খুঁজে পাননি বাড়ির লোক।

রবিবার সকালে চৈতন্যপুর-সহ আশপাশের এলাকার মানুষ শিলাবতী নদীর জলে খোঁজ শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দারাই নদী থেকে এক যুবকের দেহ উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে শনাক্ত করেন। ঘটনার খবর পেয়ে চন্দ্রকোণা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

পরিবারের এক সদস্য বলেন, “বন্ধুরা তো বলছে, ওরা ডেকেছিল, কিন্তু ওই আসতে চায়নি। এখন কী আর বলার আছে! রাতে কী হল কে জানে! জলের তোড়ে ভেসে যেতে পারে। কিছুই মাথায় আসছে না।”

Next Article