পশ্চিম মেদিনীপুর: মেদিনীপুর আলাদত চত্বর থেকে বিপুল পরিমাণে জাল স্ট্যাম্প পেপার, জাল নথি উদ্ধার। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারকের সই জাল করা হয়েছে বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে মেদিনীপুর কোতোয়ালি থানায় এক ব্যাক্তি অভিযোগ দায়ের করেন, তাঁকে মেদিনীপুর আদালতের ফাস্ট ক্লাস ম্যাজিস্ট্রেটের ভুয়ো এফি়ডাভিট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।
অভিযোগের গুরুত্ব বুঝে তড়িঘড়ি তদন্তে নামে পুলিশ। মেদিনীপুর আদালত চত্বরে থাকা একটি জেরক্সের দোকানে হানা দিয়ে বাজেয়াপ্ত করা হয় সমস্ত ভুয়ো নথি। জাল নথি ঠিক কী কী কাজে ব্যাবহার করা হত, তা তদন্তে নেমে সেগুলই খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
সম্প্রতি এক ব্যক্তি নিজস্ব প্রয়োজনে পাসপোর্ট করাতে যান দফতরে। সেখানেই তিনি জানতে পারেন তার নথি জাল। তার পরেই তিনি অভিযোগ জানান মেমারি থানায়। মেমারির প্রাক্তন বিধায়িকা নারগিস বেগমের নামাঙ্কিত জাল স্ট্যাম্প-সহ প্যাড, বর্ধমান পৌরসভার স্ট্যাম্প এ ছাড়াও এনআরএস, মালদহ মেডিক্যালের রবার স্ট্যাম্প, বিভিন্ন বিদ্যালয়ের স্থানান্তরের শংসাপত্র, জন্ম মৃত্যুর শংসাপত্র আরও একাধিক জাল নথি উদ্ধার হয়।
পূর্ব বর্ধমানের খাগড়াগড় থেকে জাল নোট কারখানার হদিস পেয়েছিল প্রশাসন। বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পাওয়া যায়। ল্যাপটপ , ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন ও পাওয়া যায়। এই ভাবে জেলা জেলায় ভুয়ো নথি-তথ্যের কারবারিদের ধরতে তৎপর প্রশাসন।