পশ্চিম মেদিনীপুর: বিধানসভা ভোটের প্রয়োজনে প্রশাসনকে বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু ভাড়ার টাকা তাঁরা পাননি। অভিযোগ বাস মালিকদের। একে লকডাউনে দীর্ঘ সময়ে বাস চলেনি। লকডাউন ওঠার পর বাস চলাচল শুরু হলেও, তা অর্ধেক যাত্রী নিয়ে হচ্ছে। তবে জ্বালানির দাম উঠছে না। তার ওপর ভাড়ার টাকা তাঁরা এখনও পাননি। তাতেই ফাঁপরে বাস মালিকরা।
বিধানসভা নির্বাচনের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গিয়েছে। সেই ভোটের কাজে ব্যবহৃত বহু বেসরকারি বাসের বকেয়া টাকা অনেক মালিকই এখনও পাননি বলে বলে অভিযোগ। প্রত্যেকবারই ভোটের সময়ে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজের জন্য যুক্ত কর্মী, পুলিশ, নিরাপত্তারক্ষীদের যাতায়াতের জন্য রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার বাস ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই টাকা না পেয়ে ক্ষতির মুখে বাস মালিকরা।
এমনিতেই গত দুবছরে লকডাউনে দীর্ঘ সময় বাসের চাকা গড়ায়নি। তারপর আংশিক লকডাউন উঠলে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর নির্দেশ দেয় প্রশাসন। তাতে আরও ফাঁপরে পড়েন বাস মালিকরা। তাতে জ্বালানির দাম ওঠে না। জ্বালানির অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েন বাস মালিকরা।
ইতিমধ্যেই ভোটের সময়ে ভাড়া দেওয়া বাসের বকেয়া টাকা মেটানোর দাবি নিয়ে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হয়েছেন ঘাটালের বাস মালিকরা। ঘাটাল থেকে ভোটের সময়ে ২২৬টি বাস দেওয়া হয়েছিল। বাসের বকেয়া টাকা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছে প্রশাসন।
এক বাস মালিক প্রভাত পানের কথায়, “ঘাটাল মহকুমা থেকে বাস-মিনিবাস মিলিয়ে ২২৬টি পাঠিয়েছিলাম। বিল রেডি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আরটিও ট্রেজারিতে বিল পাঠিয়ে দিয়েছে। এক মাসের ওপর ট্রেজারিতে বিল পড়ে রয়েছে।”
এ প্রসঙ্গে মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস বলেন, “আমরা যে বিল পেয়েছিলাম, সে সমস্ত বিল চেক করে পাঠিয়ে দিয়েছি। নিশ্চয়ই টাকা ঠিকঠাক সময়ে পেয়ে যাবেন।” শুধু পশ্চিম মেদিনীপুর নয়, অনেক জেলাতেই বাসের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার কাজ বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ।
অতিমারি পরিস্থিতিতে গণপরিবহণ সম্পূর্ণ স্তব্ধ হয়ে পড়েছিল। পরিবহণকর্মীদের মতো সঙ্কটে পড়েন বেসরকারি বাসের মালিকেরাও। সারা রাজ্যে বেসরকারি বাসের ক্ষুদ্র একটি অংশকে জরুরি প্রয়োজনে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের যাতায়াতের কাজে লাগানো হচ্ছে। এর বাইরে অধিকাংশ বাসই কার্যত বসে ছিল। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা সুরাহা পেতে বাস-মালিকদের একাংশ নির্বাচনের ব্যবহৃত বাসের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আরও পড়ুন: রাজ্যর যুক্তিতে কতটা গুরুত্ব? নজরে আজ ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার রায়