Manasha Puja Video: কালীর নিরঞ্জনের দিন মনসার চোখে জল? রইল ভিডিয়ো…

Ashim Bera | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Nov 13, 2023 | 4:37 PM

Manasha Puja 2023: ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পৌরসভার কৃষ্ণপুরের। সেখানকার বাসিন্দা মীঠু মালিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মালিক পরিবারের মন্দিরের বিগ্রহ মনসাদেবীর চোখ থেকে নাকি জল পড়ছে। আজ সকাল ৮ টা নাগাদ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমতে থাকে মালিক পরিবারে।

Follow Us

খড়ার: এটা কী অলৌকিক কাণ্ড নাকি অন্যকিছু তা বোঝা যায়নি। তবে কালীপুজোর পরের দিন থেকেই কার্যত হইহই পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়াড়ে। কেন জানেন? সকাল থেকেই নাকি বাড়ির মালিক লক্ষ্য করেছেন মনসা দেবীর চোখ থেকে জল পড়ছে। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমত চাঞ্চল্য। ভিড় জমেছে কার্যত ওই এলাকায়।

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পৌরসভার কৃষ্ণপুরের। সেখানকার বাসিন্দা মীঠু মালিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মালিক পরিবারের মন্দিরের বিগ্রহ মনসাদেবীর চোখ থেকে নাকি জল পড়ছে। আজ সকাল ৮ টা নাগাদ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমতে থাকে মালিক পরিবারে।

জানা গিয়েছে, মালিক পরিবারের বহু প্রাচীণ একটি ছোট্ট মন্দিরে বহু দিন থেকেই এই বিগ্রহ রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এ ঘটনা আগে কখনও নাকি ঘটেনি। যদিও দুপুর নাগাদ এই দৃশ্য আর চোখে পড়েনি কারো। তবে ওই মন্দিরের পুরোহিত তরুণ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি দাবি করছেন মায়ের অঙ্গহানি হয়েছে তার কারণেই চোখের জল।

ঘাটালে মনসা মূর্তির চোখ দিয়ে জল পড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির রাজ্য সম্পাদক ড. তপন কুমার শী বলেছেন, “মন্দিরে বিগ্রহের দুধ খাওয়া, জল খাওয়া কিংবা চোখ দিয়ে জল পড়ার মত আজগুবি প্রচার এই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময় এই ধরণের নানা হুজুগে প্রচার রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন যার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। একটু পরীক্ষা করলে দেখা যাবে নানান দেবতার বিগ্রহের দুধ বা তরল জাতীয় পদার্থে খাওয়া বাস্তবে খাওয়া নয়। capillary action এর জন্য তরলের কিছু টা উর্ধ্মুখী গমনের পর অন্য দিকে নীচে নির্গমন ঘটে। বর্তমান যে ঘটনা এখানে ঘটেছে, তাতে এই বিগ্রহ/মূর্তিতে সদ্য রং করা বা বার্নিশের মত জৈব তরলের ব্যবহার করা হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। অতিরিক্ত বার্নিশ গড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা দেখা যেতে পারে বা বার্নিশের উপর ছেটানো জল পড়লে ও তা এভাবে ঘটতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “প্রথাগত শিক্ষা নেই এমন মানুষ কিংবা একটি শিশুও জানে এই সব ঠাকুরের বিগ্রহ কোনও রকম প্রসাদ ভক্ষণ করে না, সবটাই মানুষের পেটে যায়। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা বা নিয়ে আসার সময় বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেলে আবার তা মাটি বা অন্যান্য জিনিস দিয়ে রিপেয়ার করা হয়। তখনও এই বিগ্রহ থেকে কেউ কোনও অভিযোগ বা তার চোখ থেকে জল পড়তে দেখেনি। ফলে বিগ্রহের অঙ্গহানির কারণে চোখের জল – এমন দাবির কোনও ভিত্তি নেই।” তাঁর আরও বক্তব্য, “মানুষের মধ্যে জমে থাকা অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে হাতিয়ার করে একদল স্বার্থান্বেষী মহল এই ধরণের আজগুবি প্রচার চালিয়ে থাকে। আমরা মানুষজনকে এই অপ্রচার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আজগুবি প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রশাসনের কাছে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

 

 

খড়ার: এটা কী অলৌকিক কাণ্ড নাকি অন্যকিছু তা বোঝা যায়নি। তবে কালীপুজোর পরের দিন থেকেই কার্যত হইহই পড়ে গিয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়াড়ে। কেন জানেন? সকাল থেকেই নাকি বাড়ির মালিক লক্ষ্য করেছেন মনসা দেবীর চোখ থেকে জল পড়ছে। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রীতিমত চাঞ্চল্য। ভিড় জমেছে কার্যত ওই এলাকায়।

ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটালের খড়ার পৌরসভার কৃষ্ণপুরের। সেখানকার বাসিন্দা মীঠু মালিকের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মালিক পরিবারের মন্দিরের বিগ্রহ মনসাদেবীর চোখ থেকে নাকি জল পড়ছে। আজ সকাল ৮ টা নাগাদ এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমতে থাকে মালিক পরিবারে।

জানা গিয়েছে, মালিক পরিবারের বহু প্রাচীণ একটি ছোট্ট মন্দিরে বহু দিন থেকেই এই বিগ্রহ রয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এ ঘটনা আগে কখনও নাকি ঘটেনি। যদিও দুপুর নাগাদ এই দৃশ্য আর চোখে পড়েনি কারো। তবে ওই মন্দিরের পুরোহিত তরুণ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, তিনি দাবি করছেন মায়ের অঙ্গহানি হয়েছে তার কারণেই চোখের জল।

ঘাটালে মনসা মূর্তির চোখ দিয়ে জল পড়ার ঘটনা প্রসঙ্গে ব্রেকথ্রু সায়েন্স সোসাইটির রাজ্য সম্পাদক ড. তপন কুমার শী বলেছেন, “মন্দিরে বিগ্রহের দুধ খাওয়া, জল খাওয়া কিংবা চোখ দিয়ে জল পড়ার মত আজগুবি প্রচার এই প্রথম নয়। বিভিন্ন সময় এই ধরণের নানা হুজুগে প্রচার রাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ প্রত্যক্ষ করেছেন যার কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। একটু পরীক্ষা করলে দেখা যাবে নানান দেবতার বিগ্রহের দুধ বা তরল জাতীয় পদার্থে খাওয়া বাস্তবে খাওয়া নয়। capillary action এর জন্য তরলের কিছু টা উর্ধ্মুখী গমনের পর অন্য দিকে নীচে নির্গমন ঘটে। বর্তমান যে ঘটনা এখানে ঘটেছে, তাতে এই বিগ্রহ/মূর্তিতে সদ্য রং করা বা বার্নিশের মত জৈব তরলের ব্যবহার করা হয়েছে বোঝা যাচ্ছে। অতিরিক্ত বার্নিশ গড়িয়ে পড়লে এই ঘটনা দেখা যেতে পারে বা বার্নিশের উপর ছেটানো জল পড়লে ও তা এভাবে ঘটতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “প্রথাগত শিক্ষা নেই এমন মানুষ কিংবা একটি শিশুও জানে এই সব ঠাকুরের বিগ্রহ কোনও রকম প্রসাদ ভক্ষণ করে না, সবটাই মানুষের পেটে যায়। বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা বা নিয়ে আসার সময় বিভিন্ন অংশ ভেঙে গেলে আবার তা মাটি বা অন্যান্য জিনিস দিয়ে রিপেয়ার করা হয়। তখনও এই বিগ্রহ থেকে কেউ কোনও অভিযোগ বা তার চোখ থেকে জল পড়তে দেখেনি। ফলে বিগ্রহের অঙ্গহানির কারণে চোখের জল – এমন দাবির কোনও ভিত্তি নেই।” তাঁর আরও বক্তব্য, “মানুষের মধ্যে জমে থাকা অন্ধ বিশ্বাস ও কুসংস্কারকে হাতিয়ার করে একদল স্বার্থান্বেষী মহল এই ধরণের আজগুবি প্রচার চালিয়ে থাকে। আমরা মানুষজনকে এই অপ্রচার থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি এবং আজগুবি প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের প্রশাসনের কাছে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

 

 

Next Article