Post Poll Violence: ‘ক্ষমতার বলে পারিবারিক অশান্তিতে খুনও ভোট পরবর্তী হিংসা বলে চালাচ্ছে সিবিআই’, বিস্ফোরক আইনজীবী

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Feb 08, 2022 | 6:54 PM

CBI: এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।

Follow Us

মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁদের তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে (Medinipur Court)। তিনজনের মধ্যে দু’জন মহিলা ছিলেন। তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে তৃতীয়জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তিনদিনের জন্য। একুশের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল গত ২ মে। এর ঠিক দু’দিন পর সবং থানার ১৩ নম্বর অঞ্চলের বিষ্ণুপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মহেশের (৪৮) মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির শক্তিপ্রমুখ ছিলেন তিনি। ৫ তারিখই নিহতের পরিবার সবং থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সন্দেহ হয়। এরপরই রাতে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে পারিবারিক অশান্তি রয়েছে। কিন্তু সিবিআই নিজেদের ক্ষমতার জোরে তাতে অন্য মামলা ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

সবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপরই বিমান মহেশ নামে মৃতের এক আত্মীয় গ্রেফতার হন। পরে যদিও আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান বিমান। ঘটনায় চার্জশিটও জমা দেয় সবং থানার পুলিশ। তাতে বিমান মহেশের পাশাপাশি বিদ্যুৎ মহেশ নামে আরও একজনের নাম ছিল। যদিও বিদ্যুৎ পলাতর। একইসঙ্গে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনায় নাম জড়ায় শুভজিৎ মহেশ, শিবানী মহেশ ও অলকা মহেশ নামে আরও তিনজনের। যদিও সবং পুলিশের চার্জশিটে এই তিনজনের নাম ছিল না।

এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাদের হাতেই গ্রেফতার হন শুভজিৎ মহেশ, শিবাণী মহেশ এবং অলকা মহেশ। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মৃণাল চৌধুরী বলেন, “পারিবারিক গন্ডগোল ভাইয়ে ভাইয়ে জায়গা জমি নিয়ে। সেই নিয়ে মারপিট, মারা যান এক ভাই। তার উপর এফআইআর হয়। স্পষ্ট লেখা আছে, পারিবারিক ঝগড়া জায়গা জমি নিয়ে। এরপর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। তদন্তের পর পুলিশ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। যাদের ধরা হল তাদের নাম চার্জশিটে ছিলই না। এরইমধ্যে হাইকোর্টে একটা রিট পিটিশন দাখিল হয়। সিবিআই কেস করতে পারে বলে। আসলে ওরা কেন্দ্রের এজেন্সি। আইনি জটিলতা তৈরি করতে এই ঘটনাকে রাজনীতির রং দিয়ে দিল। অথচ গোটা এফআইআরে কোথাও এ সংক্রান্ত কিছুর উল্লেখই নেই।”

মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে শুভজিতের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি দু’জনের জেল হেফাজত হয়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি অমূল্য মাইতি বলেন, “বিজেপি করার অপরাধে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দু’দিন পর খুন হয়েছিল শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ বিশ্বজিৎ মহেশ। পুলিশ সুকৌশলে নাম বাদ দিয়েছে প্রকৃত অপরাধীদের। সিবিআই তদন্তে সুবিচার পাবে বিশ্বজিতের পরিবার।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

মেদিনীপুর: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় (Post Poll Violence Case) তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁদের তোলা হয় মেদিনীপুর আদালতে (Medinipur Court)। তিনজনের মধ্যে দু’জন মহিলা ছিলেন। তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে তৃতীয়জনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে তিনদিনের জন্য। একুশের বিধানসভা ভোটের ফল ঘোষণা হয়েছিল গত ২ মে। এর ঠিক দু’দিন পর সবং থানার ১৩ নম্বর অঞ্চলের বিষ্ণুপুর গ্রামের বিজেপি কর্মী বিশ্বজিৎ মহেশের (৪৮) মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বিজেপির শক্তিপ্রমুখ ছিলেন তিনি। ৫ তারিখই নিহতের পরিবার সবং থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পরিবারের অভিযোগ ছিল, ঘটনার দিন বিকেলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। কিন্তু বাড়ি না ফেরায় পরিবারের সন্দেহ হয়। এরপরই রাতে তাঁকে খুঁজতে বেরিয়ে রাস্তায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন পরিবারের সদস্যরা। থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। এদিকে অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবীর দাবি, এই মৃত্যুর পিছনে পারিবারিক অশান্তি রয়েছে। কিন্তু সিবিআই নিজেদের ক্ষমতার জোরে তাতে অন্য মামলা ঢুকিয়ে দিচ্ছে।

সবং পুলিশ তদন্ত শুরু করে। এরপরই বিমান মহেশ নামে মৃতের এক আত্মীয় গ্রেফতার হন। পরে যদিও আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান বিমান। ঘটনায় চার্জশিটও জমা দেয় সবং থানার পুলিশ। তাতে বিমান মহেশের পাশাপাশি বিদ্যুৎ মহেশ নামে আরও একজনের নাম ছিল। যদিও বিদ্যুৎ পলাতর। একইসঙ্গে এই অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনায় নাম জড়ায় শুভজিৎ মহেশ, শিবানী মহেশ ও অলকা মহেশ নামে আরও তিনজনের। যদিও সবং পুলিশের চার্জশিটে এই তিনজনের নাম ছিল না।

এরপরই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তভার নেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাদের হাতেই গ্রেফতার হন শুভজিৎ মহেশ, শিবাণী মহেশ এবং অলকা মহেশ। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী মৃণাল চৌধুরী বলেন, “পারিবারিক গন্ডগোল ভাইয়ে ভাইয়ে জায়গা জমি নিয়ে। সেই নিয়ে মারপিট, মারা যান এক ভাই। তার উপর এফআইআর হয়। স্পষ্ট লেখা আছে, পারিবারিক ঝগড়া জায়গা জমি নিয়ে। এরপর পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করে। তদন্তের পর পুলিশ দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। যাদের ধরা হল তাদের নাম চার্জশিটে ছিলই না। এরইমধ্যে হাইকোর্টে একটা রিট পিটিশন দাখিল হয়। সিবিআই কেস করতে পারে বলে। আসলে ওরা কেন্দ্রের এজেন্সি। আইনি জটিলতা তৈরি করতে এই ঘটনাকে রাজনীতির রং দিয়ে দিল। অথচ গোটা এফআইআরে কোথাও এ সংক্রান্ত কিছুর উল্লেখই নেই।”

মঙ্গলবার ধৃতদের আদালতে তোলা হলে শুভজিতের তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। বাকি দু’জনের জেল হেফাজত হয়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সহ সভাপতি অমূল্য মাইতি বলেন, “বিজেপি করার অপরাধে নির্বাচনের ফল ঘোষণার দু’দিন পর খুন হয়েছিল শক্তিকেন্দ্র প্রমুখ বিশ্বজিৎ মহেশ। পুলিশ সুকৌশলে নাম বাদ দিয়েছে প্রকৃত অপরাধীদের। সিবিআই তদন্তে সুবিচার পাবে বিশ্বজিতের পরিবার।”

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা 

Next Article