তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক ‘মারধর’, ফাটল মাথা, ভাঙল হাত-পা! উত্তেজনা কেশপুরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jul 10, 2021 | 4:32 PM

TMC BJP Clash: মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই কেশপুরে পর্যবেক্ষণ সারেন কমিশনের প্রতিনিধি দল। তারপরেই 'আক্রান্ত' বিজেপি কর্মী। হামলার অভিযোগ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে।

তৃণমূলের সালিশি সভায় বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর, ফাটল মাথা, ভাঙল হাত-পা! উত্তেজনা কেশপুরে
আক্রান্ত বিজেপি নেতা, নিজস্ব চিত্র

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: ভোটের পরেও মিটছে না সন্ত্রাস। নির্বাচনের পরে সন্ত্রাসের ‘বাড়বাড়ন্ত’ নিয়ে বরাবরই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে একাধিক মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশ মেনেই তদন্তে নেমেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কিন্তু কমিশনের তদন্তের মাঝেই তৃণমূল-বিজেপি (TMC-BJP Clash) সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কেশপুর।

মাত্র ২৪ ঘণ্টা আগেই কেশপুরে পর্যবেক্ষণ সারেন কমিশনের প্রতিনিধি দল। তারপরেই ‘আক্রান্ত’ বিজেপি (BJP) কর্মী। হামলার অভিযোগ তৃণমূল (TMC) আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ভোটের পরেই দীর্ঘদিন ঘরছাড়া ছিলেন বিজেপি কর্মী সইদুল রহমান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনতলা গ্রামে নিজের বাড়িতে ফেরেন সইদুল। সেইদিনই গ্রামে আসেন কমিশনের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, শুক্রবার সইদুলের বাড়ি থেকে তৃণমূলের সালিশি সভায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁর থেকে জরিমানা আদায়ের চেষ্টা করা হয়। জরিমানা না দেওয়ায় সইদুলের উপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। অকথ্য় মারধরের জেরে মাথা ফেটে, হাত-পা ভেঙে ঘটনাস্থলেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে যান সইদুল। স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা মিলে তাঁকে জখম অবস্থায় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করেন।

আহত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী সাইমা বিবির, “শুক্রবার তৃণমূলের লোকেরা বাড়ি থেকে এসে ডেকে নিয়ে যায় আমার স্বামীকে। এতদিন বাড়িতে ছিলেন তিনি। ভোটের পর থেকেই বাড়ি ছাড়া। এদিন বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করে তৃণমূলের গুন্ডারা। আমার স্বামীর হাত-পা ভেঙে দিয়েছে, মাথা ফাটিয়ে দিয়েছি। কোমর ভেঙেছে কি না জানি না। প্রচণ্ড মারধর করেছে।”

ঘটনায়, বিজেপি নেতা তন্ময় ঘোষ জানিয়েছেন, সইদুল প্রায় তিনমাস বাড়ির বাইরে ছিল। তাঁর থেকে পাঁচহাজার টাকা জরিমানা নেওয়া হয়। তারপর তাঁকে ডেকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। মাথায় একাধিক সেলাই পড়েছে সইদুলের। শাসক শিবিরের এই অহঙ্কারই একদিন পতনের কারণ হবে। পাল্টা, তৃণমূলের জেলা সভাপতি অজিত মাইতি জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি। বিরোধী শিবির মিথ্যা অভিযোগ করছে। এই ঘটনা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আরও পড়ুন: শেষ দেখে ছাড়লেন মমতা, রবীন মান্না ‘হত্যাকাণ্ডে’ সিআইডির জালে ১ বিজেপি কর্মী

Next Article