Daspur news: বয়কট করা পরিবারের সঙ্গে কথা বললেই জরিমানা ৫ হাজার! মোড়লদের আজব ফতোয়া দাসপুরে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

May 17, 2022 | 11:11 PM

Daspur news: গ্রামের পুরোহিত পরিবারকে বয়কট করে দিয়েছেন মোড়লরা। যদি কেউ ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাহলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও লেখা হয়েছে পোস্টারে।

Daspur news: বয়কট করা পরিবারের সঙ্গে কথা বললেই জরিমানা ৫ হাজার! মোড়লদের আজব ফতোয়া দাসপুরে
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে পোস্টার ঘিরে শোরগোল

Follow Us

দাসপুর : বয়কট করা পরিবারে সঙ্গে কথা বললেই হবে ৫ হাজার টাকা জরিমানা। এমনই ফতোয়া জারি করেছে গ্রামের মোড়লরা। মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর দেলার দাসপুর থানা এলাকার নাড়াজোল গ্রামে। মন্দিরের অধিকার ও পুজো করা নিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে বিবাদ। আর সেই বিবাদের জেরেই এই আজব ফতোয়া জারি করেছেন গ্রামের মোড়লরা। গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় হ্যান্ডবিল ও পোস্টারও সাঁটানো হয়েছে এই নিয়ে। গ্রামের পুরোহিত পরিবারকে বয়কট করে দিয়েছেন মোড়লরা। যদি কেউ ওই পরিবারের সঙ্গে কথা বলে, তাহলে তাদের পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে বলেও লেখা হয়েছে পোস্টারে।

স্থানীয়দের একাংশ জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মোহিনীমোহন চক্রবর্তীর সাথে মন্দিরে পুজো করা ও সম্পত্তি বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে গ্রামকে উপেক্ষা করেই আদালতে মামলা করেন মোহিনী মোহন বাবু। পরে সেই মামলাতে হেরে যান তিনি। এরপর মোহিনী চক্রবর্তী সল্টলেকের ল্যান্ড রিফর্মস অ্যান্ড টেনান্সি ট্রাইবুনালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাতেই বেজায় চটে যান গ্রামের মোড়লরা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় মোহিনী চক্রবর্তীকে গ্রাম থেকে বয়কট করা হবে। শুধু তাই নয়, নাড়াজোল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় এই নিয়ো পোস্টারও লাগানো হয়েছে। সেই পোস্টারে লেখা, নাড়াজোল গ্রামের বাসিন্দা মোহিনী চক্রবর্তী নিম্ন আদালতে হেরে যাওয়ার পর উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এর ফলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যদি মোহিনী চক্রবর্তীর সঙ্গে কেউ যোগাযোগ রাখেন, তাহলে সেই ব্যক্তির ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হবে।

নাড়াজোল তারাশঙ্কর শীতলা মাতা কমিটির নামে ওই পোস্টারগুলি দেওয়া হয়। আর এই ফতোয়া ঘিরে কার্যত শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় দাসপুর থানার পুলিশ। এলাকার সমস্ত পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। গ্রামের ওই মোড়লদের পাশাপাশি পুরোহিতকেও আগামী ১৯ মে দাসপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে যাদের নামে এই ফতোয়া, সেই পুরোহিত মোহিনী মোহন চক্রবর্তীর ছেলে রাজীব চক্রবর্তী জানান, “নাড়াজোলের রাজার আমল থেকেই তাঁদের পূর্বপুরুষ এমনকী তাঁর বাবাও ওই মন্দিরের পুজারির কাজে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই ২০০৯ সাল নাগাদ গ্রামবাসীদের সঙ্গে কিছু সমস্যার জেরে তাদেরকে আর পুজো করতে দেওয়া হয়নি। সেই মন্দির ও পুজোর কাজ ফিরে পেতেই তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।”

Next Article