WB Farmer Suicide: রাজ্য বলছে শূন্য কিন্তু ২০২১-এ পশ্চিম মেদিনীপুরেই কৃষক আত্মহত্যার সংখ্যা ১২২! RTI-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

TV9 Bangla Digital | Edited By: Soumya Saha

Sep 14, 2022 | 3:47 PM

Farmer Suicide: আরটিআই-এর তথ্যে উঠে এসেছে, শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ২০২১ সালে ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।

Follow Us

তন্ময় প্রামাণিক

কৃষক আত্মহত্যার ছবি এ রাজ্যে কেমন? জানেন? রাজ্যের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছরে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। বিধানসভার ভিতরে হোক বা বাইরে, একই দাবি সরকার পক্ষের। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি এমনই মসৃণ? বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। খোঁজখবর করতে দেখা গিয়েছে, এ এক জ্বলন্ত ইস্যু। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। মঙ্গলবারও পূর্ব বর্ধমানের গোলামপাড়া এলাকায় লোকসানের ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন এক ভাগচাষী। রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই। সম্প্রতি এক আরটিআই করে এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

আরটিআই-এর হিসেব বলছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে কৃষি ও কৃষি সম্পর্কযুক্ত ক্ষেত্রে ১২২ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও রাজ্যের দাবি, গত কয়েক বছরে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি এই রাজ্যে। উল্লেখ্য, রাজ্যের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই পরিসংখ্যান তৈরি করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি। গত ২৯ অগস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এনসিআরবি। তাতে গোটা দেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে অন্য কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের নামের পাশেও কৃষি ও কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে আত্মহত্যা দেখানো হয়েছে শূন্য।

আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

তাহলে আরটিআই-এর তথ্য কেন অন্য কথা বলছে? বিশিষ্ট সমাজ ও আইন গবেষক বিশ্বনাথ গোস্বামী সম্প্রতি একটি আরটিআই করেছিলেন। সেই আরটিআই-এর তথ্যে উঠে এসেছে, শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ২০২১ সালে ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৩৪ জন। কৃষক আত্মহত্যা যে কতটা জ্বলন্ত সমস্যা এই রাজ্যে, তা এই একটি জেলার পরিসংখ্যান দেখলেই কিছুটা আন্দাজ করা যেতে পারে। আরটিআই-এর ওই তথ্যে জেলার প্রতিটি থানা এলাকা ধরে ধরে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে সবথেকে করুণ ছবি ঘাটালে। সেখানে গত বছর ৬৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। এই বছর এখনও পর্যন্ত হিসেব ১৩। এরপরই রয়েছে গোয়ালতোড় থানা এলাকা। সেখানে গতবছর ১৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। এই বছরের হিসেব এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন।

কৃষক আত্মহত্যার পরিসংখ্যান

বিরোধীরা নয়, আরটিআই-এর এই উত্তর দিয়েছে এই রাজ্যের সরকারি দফতরই। নথি অনুযায়ী উত্তর দিয়েছে রাজ্যের ‘দ্য স্টেট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার অ্যান্ড ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ(ডি অ্যান্ড টি), পশ্চিম মেদিনীপুর। আর এখানেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। তাহলে কি রাজ্য সরকার কৃষক আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে? কিংবা তথ্যে কি কোনও কারচুপি করা হচ্ছে? নাহলে এনসিআরবি রিপোর্ট (যা রাজ্যের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি) এবং আরটিআই-এর তথ্যের মধ্যে এই বিশাল ফারাক কেন? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্য সরকার সঠিক তথ্য দেয়নি এনসিআরবিকে? রাজ্য কি কৃষক আত্মহত্যা চেপে যেতে চাইছে? রাজ্যে কি কৃষকদের অবস্থা খুবই খারাপ? এত কৃষক আত্মহত্যা করলেও একটি পরিবারও কেন সাহায্য পেল না?

আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী এই বিষয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ক্রাইম সঠিক পদ্ধতিতে রেজিস্টার্ড হয় না। রেজিস্টার্ড ক্রাইম ডেটায় কারচুপি করার বিষয়টি ভয়ঙ্করভাবে সত্য। পুলিশের ভাষায় এই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় ডেটা রেশনালাইজ় করা। সেটি বিগত দশ বছরের অপরাধের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলেই পরিষ্কারভাবে ধরা যায়। কৃষক আত্মহত্যা অনেক বড় বিষয়। সামান্য মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই করা হলে, তা হারিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়। সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে রিপোর্টেড কেসে ২৫-৩০ শতাংশের বেশি এফআইআরই হয় না।”

তাঁর মতে, এভাবে সমাজে অপরাধ কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বরং এতে অপরাধীর সংখ্যা বাড়ে এবং অপরাধের চরিত্র বদল হয়। কাজেই কৃষক আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ ও সরকারি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ত্রুটি বিচ্যুতি খোঁজার বদলে, প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যার ফানুস ওড়ালে বিষয়টি এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির রূপ নেবে বলেই মনে করছেন তিনি।

আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

সর্বভারতীয় কিষান সভার নেতা তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক হান্নান মোল্লা এই বিষয়ে বলেন,”ধেনো মদ খেয়ে মরে গেলে, ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কিন্তু যে কৃষক অন্নদাতা, আমাদের বাঁচিয়ে রাখছেন, তাঁরা যখন আত্মহত্যা করছেন, সরকার তা স্বীকার করতেই রাজি না। এটি অত্যন্ত কৃষক বিরোধী মনোভাব। এই নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বলেছি আমরা। কারণ, আন্দোলন ছাড়া এই সরকার অন্য কোনও ভাষা বোঝে না।”

কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “বাংলার কৃষকদের অবস্থা… তিনগুণ আয় বেড়ে গিয়েছে, তাহলে আত্মহত্যা হচ্ছে কেন? উনি কিষান সম্মান নিধি থেকে দুই বছর বঞ্চিত করে রেখেছিলেন। গতবছর ভোটে যখন কৃষকরা ভোট দেননি, তারপর উনি শুরু করেছেন। কিচ্ছু করেননি। খালি ভুলভাল তথ্য দিয়ে চালিয়ে দিয়েছেন।”

কৃষক নেতা সৈয়দ মহম্মদ হোসেনের বক্তব্য, “তথ্য লুকানোর পিছনে নিজের অপদার্থতাকে লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেমন আড়াল করছে, তেমনই কৃষক আত্মহত্যাকেও আড়াল করছে।”

যদিও এই সবের সাফাই দিতে তৈরি তৃণমূলও। তৃণমূল নেতা তথা দলীয় মুখপাত্র দেবু টুডু এই বিষয়ে বলেন, “সব শ্রেণির মানুষই মারা যান সময় হলে। আত্মহত্যাও হয় বিভিন্ন বিষয়ে। যাঁরা আত্মহত্যা করছেন, তাঁরাই কৃষক… আর কৃষির জন্যই আত্মহত্যা করছেন, তা তো হতে পারে না। এসব গল্পকথা বলে লাভ নেই। বাংলার মানুষ ভাল আছেন।”

দেখুন ভিডিয়ো:

তন্ময় প্রামাণিক

কৃষক আত্মহত্যার ছবি এ রাজ্যে কেমন? জানেন? রাজ্যের তরফে বার বার দাবি করা হয়েছে, গত কয়েক বছরে রাজ্যে কোনও কৃষক আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেনি। বিধানসভার ভিতরে হোক বা বাইরে, একই দাবি সরকার পক্ষের। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা কি এমনই মসৃণ? বাস্তব কিন্তু বলছে অন্য কথা। খোঁজখবর করতে দেখা গিয়েছে, এ এক জ্বলন্ত ইস্যু। পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তো অবশ্যই। মঙ্গলবারও পূর্ব বর্ধমানের গোলামপাড়া এলাকায় লোকসানের ধাক্কা সামাল দিতে না পেরে কীটনাশক খেয়ে ‘আত্মঘাতী’ হয়েছেন এক ভাগচাষী। রাজ্যে রেকর্ড সংখ্যক কৃষক আত্মহত্যা করেছেন শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই। সম্প্রতি এক আরটিআই করে এমনই সব বিস্ফোরক তথ্য পাওয়া গিয়েছে।

আরটিআই-এর হিসেব বলছে, শুধুমাত্র ২০২১ সালেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে কৃষি ও কৃষি সম্পর্কযুক্ত ক্ষেত্রে ১২২ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছেন। যদিও রাজ্যের দাবি, গত কয়েক বছরে কোনও কৃষক আত্মহত্যা করেননি এই রাজ্যে। উল্লেখ্য, রাজ্যের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতেই পরিসংখ্যান তৈরি করে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো বা এনসিআরবি। গত ২৯ অগস্ট একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এনসিআরবি। তাতে গোটা দেশের বিভিন্ন পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে অন্য কয়েকটি রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গের নামের পাশেও কৃষি ও কৃষি সম্পর্কিত ক্ষেত্রে আত্মহত্যা দেখানো হয়েছে শূন্য।

আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

তাহলে আরটিআই-এর তথ্য কেন অন্য কথা বলছে? বিশিষ্ট সমাজ ও আইন গবেষক বিশ্বনাথ গোস্বামী সম্প্রতি একটি আরটিআই করেছিলেন। সেই আরটিআই-এর তথ্যে উঠে এসেছে, শুধুমাত্র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই ২০২১ সালে ১২২ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছেন। ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত আত্মহত্যা করেছেন ৩৪ জন। কৃষক আত্মহত্যা যে কতটা জ্বলন্ত সমস্যা এই রাজ্যে, তা এই একটি জেলার পরিসংখ্যান দেখলেই কিছুটা আন্দাজ করা যেতে পারে। আরটিআই-এর ওই তথ্যে জেলার প্রতিটি থানা এলাকা ধরে ধরে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে সবথেকে করুণ ছবি ঘাটালে। সেখানে গত বছর ৬৩ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। এই বছর এখনও পর্যন্ত হিসেব ১৩। এরপরই রয়েছে গোয়ালতোড় থানা এলাকা। সেখানে গতবছর ১৪ জন কৃষক আত্মহত্যা করেছিলেন। এই বছরের হিসেব এখনও পর্যন্ত পাঁচ জন।

কৃষক আত্মহত্যার পরিসংখ্যান

বিরোধীরা নয়, আরটিআই-এর এই উত্তর দিয়েছে এই রাজ্যের সরকারি দফতরই। নথি অনুযায়ী উত্তর দিয়েছে রাজ্যের ‘দ্য স্টেট পাবলিক ইনফরমেশন অফিসার অ্যান্ড ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট অব পুলিশ(ডি অ্যান্ড টি), পশ্চিম মেদিনীপুর। আর এখানেই বেশ কিছু প্রশ্ন উঠে আসছে। তাহলে কি রাজ্য সরকার কৃষক আত্মহত্যা সংক্রান্ত তথ্য গোপন করছে? কিংবা তথ্যে কি কোনও কারচুপি করা হচ্ছে? নাহলে এনসিআরবি রিপোর্ট (যা রাজ্যের পাঠানো তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি) এবং আরটিআই-এর তথ্যের মধ্যে এই বিশাল ফারাক কেন? প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি রাজ্য সরকার সঠিক তথ্য দেয়নি এনসিআরবিকে? রাজ্য কি কৃষক আত্মহত্যা চেপে যেতে চাইছে? রাজ্যে কি কৃষকদের অবস্থা খুবই খারাপ? এত কৃষক আত্মহত্যা করলেও একটি পরিবারও কেন সাহায্য পেল না?

আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরটিআই কর্মী বিশ্বনাথ গোস্বামী এই বিষয়ে বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ক্রাইম সঠিক পদ্ধতিতে রেজিস্টার্ড হয় না। রেজিস্টার্ড ক্রাইম ডেটায় কারচুপি করার বিষয়টি ভয়ঙ্করভাবে সত্য। পুলিশের ভাষায় এই বিশেষ পদ্ধতিকে বলা হয় ডেটা রেশনালাইজ় করা। সেটি বিগত দশ বছরের অপরাধের পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখলেই পরিষ্কারভাবে ধরা যায়। কৃষক আত্মহত্যা অনেক বড় বিষয়। সামান্য মোবাইল ফোন চুরি বা ছিনতাই করা হলে, তা হারিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ করতে বাধ্য করা হয়। সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে রিপোর্টেড কেসে ২৫-৩০ শতাংশের বেশি এফআইআরই হয় না।”

তাঁর মতে, এভাবে সমাজে অপরাধ কমানো বা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বরং এতে অপরাধীর সংখ্যা বাড়ে এবং অপরাধের চরিত্র বদল হয়। কাজেই কৃষক আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ ও সরকারি পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ত্রুটি বিচ্যুতি খোঁজার বদলে, প্রকৃত তথ্য গোপন করে মিথ্যার ফানুস ওড়ালে বিষয়টি এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির রূপ নেবে বলেই মনে করছেন তিনি।

আরটিআই-এ চাঞ্চল্যকর তথ্য

সর্বভারতীয় কিষান সভার নেতা তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক হান্নান মোল্লা এই বিষয়ে বলেন,”ধেনো মদ খেয়ে মরে গেলে, ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে। কিন্তু যে কৃষক অন্নদাতা, আমাদের বাঁচিয়ে রাখছেন, তাঁরা যখন আত্মহত্যা করছেন, সরকার তা স্বীকার করতেই রাজি না। এটি অত্যন্ত কৃষক বিরোধী মনোভাব। এই নিয়ে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বলেছি আমরা। কারণ, আন্দোলন ছাড়া এই সরকার অন্য কোনও ভাষা বোঝে না।”

কড়া ভাষায় রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষও। তিনি বলেন, “বাংলার কৃষকদের অবস্থা… তিনগুণ আয় বেড়ে গিয়েছে, তাহলে আত্মহত্যা হচ্ছে কেন? উনি কিষান সম্মান নিধি থেকে দুই বছর বঞ্চিত করে রেখেছিলেন। গতবছর ভোটে যখন কৃষকরা ভোট দেননি, তারপর উনি শুরু করেছেন। কিচ্ছু করেননি। খালি ভুলভাল তথ্য দিয়ে চালিয়ে দিয়েছেন।”

কৃষক নেতা সৈয়দ মহম্মদ হোসেনের বক্তব্য, “তথ্য লুকানোর পিছনে নিজের অপদার্থতাকে লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে। দুর্নীতির ক্ষেত্রে যেমন আড়াল করছে, তেমনই কৃষক আত্মহত্যাকেও আড়াল করছে।”

যদিও এই সবের সাফাই দিতে তৈরি তৃণমূলও। তৃণমূল নেতা তথা দলীয় মুখপাত্র দেবু টুডু এই বিষয়ে বলেন, “সব শ্রেণির মানুষই মারা যান সময় হলে। আত্মহত্যাও হয় বিভিন্ন বিষয়ে। যাঁরা আত্মহত্যা করছেন, তাঁরাই কৃষক… আর কৃষির জন্যই আত্মহত্যা করছেন, তা তো হতে পারে না। এসব গল্পকথা বলে লাভ নেই। বাংলার মানুষ ভাল আছেন।”

দেখুন ভিডিয়ো:

Next Article