পশ্চিম মেদিনীপুর: নেতাইয়ে যাওয়ার পথে শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাল পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরোধী দলনেতা। পরে নেতাইয়ের বদলে ভীমপুরে কর্মসূচি বিরোধী দলনেতার।
কী কারণে পুলিশ আটকেছে?
সূত্রের খবর, আজকে নেতাইয়ে কর্মসূচি ছিল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। সেখানে যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতার কনভয় আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে যে কনভয় ছিল তা পুলিশ গন্তব্যস্থলে যেতে দেবে না। একা যদি শুভেন্দু যান তবেই তিনি অনুমতি পাবেন। এদিকে, একা বিরোধী দলনেতা ঘটনাস্থলে যেতে চাননি। তিনি তাঁর সঙ্গে যাঁরা ছিলেন তাঁদের প্রত্যেককে নিয়েই নেতাইয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তার ফলে পুলিশ যেতে দেয়নি বলেই প্রাথমিক ভাবে জানতে পারা গিয়েছে।
তাই লালগড় ঢোকার মুখে ঝিটকার জঙ্গল থেকে ফিরে এসে ভিমপুরে অস্থায়ী শহিদ বেদী তৈরি করে নেতাইয়ের শহিদদের উদ্দেশে স্মৃতি তর্পন করলেন শুভেন্দু। পাশাপাশি করেন মাল্যদান। এছাড়া নেতাইয়ে যাঁরা শহিদ হয়েছিলেন তাঁদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীতে তিনি সিধু-কানুর উদ্দেশেও শ্রদ্ধা জানান। আর এইভাবে তিনি নেতাইয়ে না যেতে পারলেও ভিমপুরে শ্রদ্ধা জানান।
কী বলছে ইতিহাস?
২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারি নেতাই গ্রামে সিপিআই(এম) নেতা রথীন দন্ডপাটের বাড়িতে ক্যাম্প করে থাকা সশস্ত্র বাহিনীর ছোড়া গুলিতে গ্রামের চারজন মহিলাসহ নয়জন নিহত হয় এবং ২৮ জন গ্রামবাসী আহত হন। এরপর থেকে প্রতি বছর নেতাই গ্রামে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ৭ ই জানুয়ারি শহীদ দিবস পালন করা হয়।
তবে, আজকে শহিদ তর্পণ দিবস পালন করে তৃণমূল। সেখানে উপস্থিত থাকেন সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র,ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও বস্ত্র দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি বিধায়ক অজিত মাইতি, আরও অনেকে।
শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপির শহীদ তর্পণ করা প্রসঙ্গে সৌমেন মহাপাত্র বলেন, “বিজেপি নেতাইয়ের মাটিকে কলুষিত করার চক্রান্ত করছে। যে কোনও ব্যক্তি শহীদ তর্পণ করতে পারেন তাতে কোনও বাধা নেই। কিন্তু সাম্প্রদায়িক শক্তি বিজেপির এক নেতা নেতাই গ্রামে এসে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা জানাবেন ।যার ফলে শহীদ বেদী কলুষিত হবে। স্মৃতি তর্পণ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু নেতাই নিয়ে রাজনীতি করার অধিকার সবার নেই। ”
এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা বলেন, “নেতাইয়ের শহিদ বেদী শুভেন্দু অধিকারীর পকেটের পয়সায় তৈরি। এখানে তৃণমূলের পয়সা নেই প্রসাশনের পয়সা নেই। মমতা বন্দ্যোপাধায় গায়ের জোরে বিশ্বাস করেন। হাইকোর্টের রায় থাকা সত্বেও আমায় যেতে দেওয়া হল না এলাকায়”