Fire Broke out: কী কাণ্ড, নিজের বাড়িতেই আগুন লাগালেন ব্যক্তি, কারণ জানার পর মাথায় হাত দমকল কর্মীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Feb 04, 2022 | 12:55 PM

Paschim Medinipur Fire Brokeout: পরেশ বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী প্রায়শই তাঁর বাবার সঙ্গে মায়ের অশান্তি লেগে থাকত। গত দু'দিন আগেও ছোট বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়।

Follow Us

ঘাটাল: রাত তখন বেশ গভীর। হঠাৎ বিকট শব্দ। কী হয়েছে ভেবেই পাচ্ছিলেন না এলাকাবাসী। সকলের মনের মধ্যেই অযাচিত আতঙ্ক। এরপরই বাইরে এসে দেখলেন এক কাণ্ড। জ্বলছে প্রতিবেশীর তিন তলা বাড়ি। আগুন লেগে গিয়েছে তাতে। আর দেরী না করেই তাঁরা খবর দেয় দমকলে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। এলাকায় আসে পুলিশ দমকল উভয়ই। আগুন লাগার কারণ জানতে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, আগুন লেগে যায়নি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই আগুন যে কেউ লাগাননি। বাড়ির মালিকই স্বয়ং আগুন লাগিয়েছেন নিজের বাড়িতে।

কেন নিজের বাড়িতেই আগুন লাগালেন?
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা পরেশ মণ্ডল। পেশায় তিনি আলু ব্যবসায়ী। এর আগে কাজের কারণে মুম্বই থাকতেন। পরেশ বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী প্রায়শই তাঁর বাবার সঙ্গে মায়ের অশান্তি লেগে থাকত। গত দু’দিন আগেও ছোট বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এরপর হঠাৎই তাঁর মা দলিলপত্র,গহনা নিয়ে কলকাতায় ছোট বোনের বাড়িতে চলে যান। এবার এই ঘটনার পর বেঁকে বসেন পরেশবাবুর স্ত্রীও। তিনিও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চলে যান বাপের বাড়ি।

মাস কয়েক পরেই পরেশ বাবুর মেয়ের বিয়ে, বাড়ির সকল সদস্যর হঠাৎ করে এভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি তিনি। তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, রাগের বশেই বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সিলিন্ডারের রেগুলেটর চালু করে আগুন ধরিয়ে দেন।

ঘটনার খবর সিভিক পুলিশকে জানানো হলে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, বাড়ির দোতলার রান্নাঘরে রাখা ছিল চারটি সিলিন্ডর, তার মধ্যে দু’টি ভর্তি ও দু’টি খালি।  সবকটি সিলিন্ডারের রেগুলেটর চালু করে এভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে একটি ফেটে গিয়ে পাশের পুকুরে গিয়ে পড়ে।

এদিকে, ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাড়ির ওয়ারিংয়ের তারসহ অধিকাংশ আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। তবে ওই সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। তবে প্রতিবেশীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন পরেশবাবু। তাঁর আত্মীয় নির্মল সামন্ত বলেন, “মানসিক চাপ থেকে এমন একটি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি। আগুন ধরিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসায় পরেশ বাবুর কোনো ক্ষতি হয়নি, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িটি।

দেখুন বাঙালিয়ানা:

** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী

** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার

ঘাটাল: রাত তখন বেশ গভীর। হঠাৎ বিকট শব্দ। কী হয়েছে ভেবেই পাচ্ছিলেন না এলাকাবাসী। সকলের মনের মধ্যেই অযাচিত আতঙ্ক। এরপরই বাইরে এসে দেখলেন এক কাণ্ড। জ্বলছে প্রতিবেশীর তিন তলা বাড়ি। আগুন লেগে গিয়েছে তাতে। আর দেরী না করেই তাঁরা খবর দেয় দমকলে। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় পুলিশেও। এলাকায় আসে পুলিশ দমকল উভয়ই। আগুন লাগার কারণ জানতে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তারপরই উঠে আসে বিস্ফোরক তথ্য। জানা যায়, আগুন লেগে যায়নি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর সেই আগুন যে কেউ লাগাননি। বাড়ির মালিকই স্বয়ং আগুন লাগিয়েছেন নিজের বাড়িতে।

কেন নিজের বাড়িতেই আগুন লাগালেন?
পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বাসিন্দা পরেশ মণ্ডল। পেশায় তিনি আলু ব্যবসায়ী। এর আগে কাজের কারণে মুম্বই থাকতেন। পরেশ বাবুর বক্তব্য অনুযায়ী প্রায়শই তাঁর বাবার সঙ্গে মায়ের অশান্তি লেগে থাকত। গত দু’দিন আগেও ছোট বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। এরপর হঠাৎই তাঁর মা দলিলপত্র,গহনা নিয়ে কলকাতায় ছোট বোনের বাড়িতে চলে যান। এবার এই ঘটনার পর বেঁকে বসেন পরেশবাবুর স্ত্রীও। তিনিও ছেলে-মেয়েকে নিয়ে চলে যান বাপের বাড়ি।

মাস কয়েক পরেই পরেশ বাবুর মেয়ের বিয়ে, বাড়ির সকল সদস্যর হঠাৎ করে এভাবে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া মেনে নিতে পারেনি তিনি। তাঁর সরল স্বীকারোক্তি, রাগের বশেই বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সিলিন্ডারের রেগুলেটর চালু করে আগুন ধরিয়ে দেন।

ঘটনার খবর সিভিক পুলিশকে জানানো হলে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় দাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি অমিত মুখোপাধ্যায় সহ বিশাল পুলিশবাহিনী। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় আসে দমকলের একটি ইঞ্জিন। জানা গিয়েছে, বাড়ির দোতলার রান্নাঘরে রাখা ছিল চারটি সিলিন্ডর, তার মধ্যে দু’টি ভর্তি ও দু’টি খালি।  সবকটি সিলিন্ডারের রেগুলেটর চালু করে এভাবে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে একটি ফেটে গিয়ে পাশের পুকুরে গিয়ে পড়ে।

এদিকে, ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাড়ির ওয়ারিংয়ের তারসহ অধিকাংশ আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে। তবে ওই সময় বাড়ির অন্যান্য সদস্যরা বাড়িতে না থাকায় ঘটনায় হতাহতের খবর নেই। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ওই এলাকায়। তবে প্রতিবেশীদের বক্তব্য, দীর্ঘদিন ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছেন পরেশবাবু। তাঁর আত্মীয় নির্মল সামন্ত বলেন, “মানসিক চাপ থেকে এমন একটি ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন তিনি। আগুন ধরিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসায় পরেশ বাবুর কোনো ক্ষতি হয়নি, কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িটি।

দেখুন বাঙালিয়ানা:

** বাঙালিয়ানার চর্চায় বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, তন্ময় বোস, অজয় চক্রবর্তী

** বাঙালিয়ানার চর্চায় অতিথি শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়, তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার

Next Article