TMC: কৃষক থেকে মোটা সম্পত্তির মালিক! দলের নেতার বিরুদ্ধে ইডি-র দুয়ারে তৃণমূল

TV9 Bangla Digital | Edited By: অবন্তিকা প্রামাণিক

Sep 24, 2022 | 3:25 PM

Paschim Medinipur: ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর ২ গ্রামপঞ্চায়েতের পার্বতীপুর এলাকায়। এই গ্রামেরই বাসিন্দা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাস।

TMC: কৃষক থেকে  মোটা সম্পত্তির মালিক! দলের নেতার বিরুদ্ধে ইডি-র দুয়ারে তৃণমূল
তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাস (নিজস্ব চিত্র)

Follow Us

পশ্চিম মেদিনীপুর: মাঠ থেকে প্রাসাদে! যেন ভাবাই যায় না। সামান্য কৃষক থেকে অল্পদিনের ব্যবধানে কী করে এত সম্পত্তির মালিক হলেন তৃণমূল নেতা? প্রশ্নটা বেশ কিছুদিন ধরেই ঘুরপাক খাচ্ছিল এলাকায়। এক কথায়, তৃণমূল নেতার এহেন উত্থানে ‘বিরক্ত’ দলের অন্য অংশ। ইডি-র তদন্ত চেয়ে চিঠি লিখেছেন প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে। শাসকদলের সঙ্গে তদন্তের দাবিতে সরব গ্রামবাসীরাও।

ঘটনাটি ঘটেছে দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের নন্দনপুর ২ গ্রামপঞ্চায়েতের পার্বতীপুর এলাকায়। এই গ্রামেরই বাসিন্দা অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাস। মাত্র কিছুদিন আগেও তাঁর পেশা ছিল চাষবাস। বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সম্পাদক পদে রয়েছেন তিনি। তৃণমূলের একাংশ এবং গ্রামবাসীদের অভিযোগ তার বিরুদ্ধেই। ১০০ দিনের কাজ নিয়ে লাগাম ছাড়া দুর্নীতি হয়েছে বলে কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে তাঁকে।

অভিযোগ, এই প্রকল্পে ঠিকাদারি করে মাত্র কয়েক বছরে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়েছেন রামকৃষ্ণবাবু। আর স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত দুই বা তিন ভাগে ভেঙে কাজের ওয়ার্ক অর্ডার দিয়েছে। ১০০ দিনের কাজে তা অবৈধ। দুর্নীতি করতে তাই সুবিধা হয়েছে রামকৃষ্ণবাবুর।

এ দিকে, লিখিত অভিযোগ পেতেই তদন্ত শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। জেলা শাসকের নির্দেশে ইতিমধ্যেই ঘাটালের মহকুমা শাসক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কাজ শুরু করেছেন। সেই কমিটিতে রয়েছেন ঘাটালের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ও ডেপুটি কালেক্টর অর্জুন পাল। ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটির সদস্যরা নন্দনপুর গ্রামপঞ্চায়েত কার্যালয়ের সমস্ত ফাইলপত্র খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ১১টি ফাইল।

বিষয়টি নিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, ‘জেলাশাসকের নির্দেশে তদন্ত হচ্ছে এই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। আমরা বেশ কয়েকটি ফাইল বাজেয়াপ্ত করেছি। এর থেকে বেশি আপাতত কিছু বলা যাবে না।’

বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রামকৃষ্ণ দাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। তবে ফোনে জানিয়েছেন, তিনি রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। আসলে তিনি সৎ মানুষ। তদন্ত হওয়ার পর বাকি কথা বলবেন তিনি। অভিযুক্তের মতো অভিযোগকারী তৃণমূল কর্মীরাও কোনও মন্তব্য করতে চাননি প্রকাশ্যে। মুখে কুলুপ এঁটেছেন গ্রামবাসীরাও।

তবে রাজনৈতিকভাবে ময়দানে নেমেছে বিরোধী দল বিজেপি। স্থানীয় বিজেপি নেতা প্রশান্ত বেরা বলেন, ‘তৃণমূলের সবাই চোর। একে একে সবার দুর্নীতির সামনে আসবে।’

Next Article