পশ্চিম মেদিনীপুর: দীর্ঘ ছ’বছর হয়ে গেল প্রতিশ্রুতি মতো মেলেনি সরকারি প্রকল্পের বাড়ি। সেই কারণে মাথা গুঁজে থাকতে হচ্ছে ভাঙা মাটির বাড়িতে। কিন্তু কোথায় গেল সরকারি প্রতিশ্রুতি? সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বা বাংলা আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির সমস্ত টাকা তো এসেছে! অভিযোগ, তবে সেই টাকা চলে গিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতা এবং কনট্রাক্টরের পকেটে। এই বিষয়ে অভিযোগ করলে রেশন বন্ধ, একশো দিনের কাজও বন্ধের হুঁশিয়ারি তৃণমূল নেতৃত্বের।
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা। সেখানের ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত জগারডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের চেকুয়াশোল এলাকায় প্রায় কুড়ি থেকে পঁচিশটি বাড়ির একই অবস্থা। যাঁরা বাড়ি পেয়েছেন অর্থাৎ হেলু লোহার, রেনুকা লোহারদের অভিযোগ, স্থানীয় দু-একজন তৃণমূল নেতা একরকম জোর করেই কেন্দ্রের পাঠানো বাড়ি তৈরির জন্য পাওনা টাকা তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে গিয়েছে।
ওই সকল বাসিন্দাদের দাবি, যাঁরা প্রথমে টাকা দিতে চাননি তাঁদের রীতিমত হুঁশিয়ারি দিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, রেশন বন্ধ থেকে শুরু করে একশো দিনের কাজ বন্ধ এরকমই হুঁশিয়ারি দিয়েছিল তারা।
স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব পশুপতি সিংহ-এর অভিযোগ, ৩১ টি বাড়ির টাকা মেরে খেয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । গরিব মানুষকে ভয় দেখিয়ে বঞ্চিত করা হয়েছে তাঁদের পাওনা টাকা। গড়বেতা দু’নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণ নির্মাল্য ভট্টাচার্যের বক্তব্য, তিনি একটি অভিযোগ পেয়েছেন। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। প্রয়োজন হলে নিজে ওই এলাকায় গিয়ে পুরো ঘটনার তদন্ত করবেন, এরকমই আশ্বাস দিয়েছেন ওই বিডিও।
অন্যদিকে, অভিযোগ খারিজ করে স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিদ্যুৎ সন্নিগ্রাহির বক্তব্য, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তাঁর পাল্টা দাবি, ‘আপনারা যখন ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন তখন কেন আমাকে বলে ওই এলাকায় যাননি?’ পাশাপাশি তাঁর হুঁশিয়ারি, তাঁর নামে যদি অভিযোগ করা হয় তাহলে তিনি কোর্টে যাবেন। প্রমাণ করতে হবে যে তিনি এই ঘটনায় জড়িত।