পশ্চিম মেদিনীপুর: একদিন দুদিন নয়, প্রতিনিয়ত পায়ে হেঁটে হাতে মাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) অরূপ ধাড়া। আর তিনি তাঁর নিজের কন্ঠে প্রচার করে চলেছেন, “দয়া করে আপনারা সচেতন হোন। কেন এখনও এত অবহেলা, কারণ আপনার বাড়ির মধ্যে কখন যে প্রবেশ করবে করোনা আপনারা সেটা জানেন না। প্লিজ মাস্ক পড়ুন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন। নিজে সুস্থ থাকুন অপরকেও সুস্থ রাখুন।”
এমনই প্রতিনিয়ত করোনা সচেতনতায় পাঠ দিয়ে চলেছেন চন্দ্রকোনার তৃণমূল বিধায়ক অরুপ ধাড়া। বেশ কয়েকদিন ধরে করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর থেকেই করোনা মোকাবিলায় কখনও এলাকার মানুষকে মাস্ক বিলি করে কখনও বা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে এলাকার মানুষকে সচেতনতার বার্তা দিচ্ছেন বিধায়ক।
অন্যান্য দিনের মতো রবিবারও চন্দ্রকোনার গুরুত্বপূর্ণ সবজির বাজারে দেখতে পাওয়া গেল দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে না নিয়েই তৃণমূল বিধায়ক একা হাতে মাইক নিয়ে প্রচার করছেন, যদিও কিছু দলীয় কর্মী সমর্থক বিধায়ককে দেখে চলে এসেছিলেন। বিধায়ক তাদের বললেন, “আপনারা চলে যান। জমায়েত করবেন না” আর বিধায়কের এই উদ্যোগের প্রশংসা কুড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। বিধায়কের প্রচার দেখে উপস্থিত হয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার গ্রাফ। করোনা প্রতিরোধে বিধায়কদের রাস্তায় নেমে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলী মৈত্রকে দেখা গিয়েছিল কোভিড সচেতনতা প্রচারে। ফের এ বার পথে নামলেন চন্দ্রকোনার বিধায়ক। পাশাপাশি, এলাকার দরিদ্র মানুষ কোভিড আক্রান্ত হলে বাড়ি বাড়ি দৈনিক খাবার পাঠানোর কথা, এমনটাই জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ ঠিকঠাক এলাকায় পালিত হচ্ছে কি না এদিন তাও খোঁজ নিয়ে দেখেন তৃণমূল বিধায়ক।
এদিকে, পরপর দুদিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যায় খুব বেশি তফাৎ নেই রাজ্যে। শুক্রবারের থেকে সংক্রমণ বেড়েছে কিছুটা। শনিবার স্বাস্থ্য ভবন থেকে প্রকাশিত বুলেটিন অনুযায়ী, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৮০২। শুক্রবার যে সংখ্যাটা ছিল ১৮ হাজার ২১৩। তবে পজিটিভিটি রেট বেড়েছে অনেকটাই। সেই হার ২৬ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে ২৯ শতাংশ। একদিনে মৃতের সংখ্যা ১৯। তবে কলকাতার পাশাপাশি, একাধিক জেলায় জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। কলকাতায় ৭ হাজার পেরিয়েছে দৈনিক সংক্রমণ। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোভিডের হার বাড়ছে হাওড়া, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলিতেও। শুধু কলকাতাতেই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যে করোনা বিধি লাগু থাকার পরও নিয়ন্ত্রণে আসছে না সংক্রমণ।
আরও পড়ুন: রাতে বন্ধুদের সঙ্গে বেরিয়েছিলেন, সকালে মিলল অটোচালকের রক্তাক্ত থ্যাঁতলানো দেহ!
আরও পড়ুন: রবিবাসরীয় প্রচারে ক্রিকেট খেললেন গৌতম, ঢুঁ মারলেন বাজারেও