Died: বমি-পায়খানা! এক সপ্তাহের মধ্যে পর পর দু’টো ছেলে মরে গেল! হাসপাতালে বাড়ির আরও তিন
Medinipur: ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ ডিসেম্বর। জানা গিয়েছেন, রওশনের বড় ছেলের হঠাৎই বমি, পায়খানা শুরু হয়।
মেদিনীপুর: এক সপ্তাহের মধ্যে একই পরিবারের দু’জনের মৃত্যু, তিনজনের অসুস্থতায় আতঙ্কে পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানার জামিরা গ্রামের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মৃতদের নাম রাজীব আলি ও সাহেব আলি।
জামিরা গ্রামের বাসিন্দা রওশন আলি। গত এক সপ্তাহের মধ্যে রওশনের দুই সন্তানের মৃত্যু হয়। এরই মধ্যে আবার তাঁর স্ত্রী ও অপর দুই সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ ডিসেম্বর। জানা গিয়েছেন, রওশনের বড় ছেলের হঠাৎই বমি, পায়খানা শুরু হয়। এরপরই তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। গত শনিবার সেই হাসপাতালেই মারা যায় রওশন আলির ছেলে।
এদিকে গত ২২ ডিসেম্বর আরও এক ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তারও সেই বমি, পায়খানা শুরু হয়। সেই ছেলেকে হাসপাতাল অবধি নিয়ে যেতে পারেনি পরিবার। তার আগে বাড়িতেই মৃত্যু হয়। এদিকে এর পর পরই রওশন আলির স্ত্রী ও দুই মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে। উপসর্গ সেই বমি, পায়খানা।
এক মেয়ে আপাতত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছে। তবে আরেক মেয়ে ও রোশনের স্ত্রী এখনও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই মেয়ের শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। রওশন আলি নিজেও জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়ের অবস্থা খুব একটা ভাল নয়। ইতিমধ্যেই রোশন আলির বাড়িতে গিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। নমুনা পরীক্ষাও করা হচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর। কেন এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা নিয়ে ধন্দে জেলা স্বাস্থ্য দফতরও। জল থেকে কোনও রকম সংক্রমণ হয়েছে। নাকি কোনও খাবার থেকে বিষক্রিয়া হয়ে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভুবনচন্দ্র হাঁসদা বলেন, “কেশপুরের জামিরা গ্রামের একজনের পায়খানা ও বমির উপসর্গে মৃত্যু হয়েছে। ওই গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে। জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা পরীক্ষার জন্য পাঠানোও হয়েছে।”
রওশন আলির বক্তব্য, তাঁর দুই ছেলে মারা গিয়েছে। স্ত্রী ও দুই মেয়ে ভর্তি রয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বমি ও পায়খানা উপসর্গ রয়েছে সকলেরই।
আরও পড়ুন: Paschim Medinipur Incident: প্রেমের ‘শাস্তি’ শীতের রাতে গ্রাম থেকে বার করে দেওয়া হল গৃহবধূকে