CM Mamata Banerjee: ‘দানের টাকা চলে যাচ্ছে অযোধ্যায়’, কপিলমুনির আশ্রমের সংস্কার নিয়ে চিন্তিত মমতা
CM Mamata Banerjee: খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, আসলে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা কতটা বেহাল তারই প্রমাণ মিলছে মমতার মন্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় মিলেছে। রাজ্যের যে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথাও সামনে এনে ফেলেছেন।
গঙ্গাসাগর: ‘আশ্রমের পাশের জায়গাটা আপনাদের টাকা দিয়ে কংক্রিট করেন তাহলে ভাল হবে।’ দানের টাকা থেকেই সেই কাজ হোক। গঙ্গাসাগরে গিয়ে কপিলমুনির আশ্রমের দেখভালের দায়িত্বে থাকা লোকজনদের এই বার্তা দিতে দেখা যায় মমতাকে। অযোধ্যায় যে টাকা যায় তাঁর সামান্য আশ্রমের উন্নতির পিছনে খরচের পরামর্শও দেন। যদিও মমতার এ মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে চাপানউতোর।
এদিন গঙ্গাসাগর থেকে মমতা বলেন, “দুর্যোগের কারণে কপিলমুনির আশ্রমের কাছে কংক্রিটের সব রাস্তা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তীর্থযাত্রীদের যাতে সমস্যা না হয় তার জন্য যতটা সম্ভব আমরা সারিয়ে দিয়েছি।” এরপরই সরকারের তরফে রাখা প্রস্তাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, “কপিলমুনি আশ্রমের কাছে আমরা একটা প্রস্তাব রেখেছিলাম। ওনাদের কাছে তো অনেক মানুষই অনেক দান-ধ্যান করেন। কিন্তু, ওনাদের বেশিরভাগ টাকাটাই বাংলায় আসে না। চলে যায় অযোধ্যায়। কিন্তু টাকাটা প্রচুর। হাজার হাজার কোটি টাকা ওখানে চলে যায়। কিন্তু পুণ্যার্থীরা আপনাদের দেয়। তার থেকে একটা অংশ এক বছরের জন্য আপনারা যদি খরচ করেন তাহলে ভাল হয়। আপনারা যদি কপিলমুনির আশ্রমের পাশের জায়গাটা আপনাদের টাকা দিয়ে কংক্রিট করেন তাহলে ভাল হবে। যদি এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করা যায় তাহলে খুবই ভাল হয়।”
শুধু তাই নয়, পুলিশকেও দেন একগুচ্ছ পরামর্শ। বলেন, “আমরা চাই মেলাটা প্রতিবারের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে হয়। কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে তা দেখতে হবে। পুলিশ-প্রশাসন দিবারাত্র পরিশ্রম করে। লোকাল যুবক-যুবতী, এনজিও-রাও করে। এগুলো মানবিকতার কাজ। এগুলো করে যেতে হবে। আমি পুলিশকে বলব স্থানীয় যুবক-যুবতীদের ভলান্টিয়ার্স হিসাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।”
এই খবরটিও পড়ুন
তবে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, আসলে রাজ্যের আর্থিক অবস্থা কতটা বেহাল তারই প্রমাণ মিলছে মমতার মন্তব্য থেকে। তিনি বলেন, “এই মন্তব্যের মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সংকীর্ণ মানসিকতার পরিচয় মিলেছে। রাজ্যের যে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার কথাও সামনে এনে ফেলেছেন। এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এরপর রাজ্যকে চালাতে রাজ্যবাসীর কাছেই এবার দানপাত্র নিয়ে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। এটা হয়তো তারই বহিঃপ্রকাশ।”