Sundarban: কুলতলির লোকালয়ে ঘাঁটি গাড়ল সুন্দরবনের বাঘ
Sundarban: সেখানকার ঝোপঝাড়ে বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখছেন বনকর্মীরা এবং তার সেখানকার বর্তমান অবস্থা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই শ্রীকান্ত পল্লির পাশাপাশি নতুন করে আজ অম্বিকানগর এলাকাতেও বাঘের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
কুলতলি: কুলতলিতে বনদফতরের খাটানো জাল টপকে পাশের এলাকায় ঘাঁটি সুন্দরবনের বাঘের। নদী সাঁতরে গ্রাম লাগোয়া ম্যানগ্রোভের ঝোঁপঝাড়ে বাঘের অবস্থান জানতে পেরেছিল এলাকার মৎস্যজীবীরা। সেখানে দিনভর জাল খাটিয়ে এমনকি রাত প্রহরা দিয়েছিল বনদফতর। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে দেখা যায়, যে বাঘটি নিজের আজমলমারি ১১ জঙ্গলে ফেরত না গিয়ে আবার বনদফতরের খাটানো জাল টপকে বেরিয়ে গিয়ে ঘাঁটি গেরেছে শ্রীকান্তপল্লির পাশের অম্বিকানগর গ্রামে।
সেখানকার ঝোপঝাড়ে বাঘের টাটকা পায়ের ছাপ দেখছেন বনকর্মীরা এবং তার সেখানকার বর্তমান অবস্থা জানার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই শ্রীকান্ত পল্লির পাশাপাশি নতুন করে আজ অম্বিকানগর এলাকাতেও বাঘের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রায়দিঘি রেঞ্জের অধীনে কুলতলির বিটের আওতাধীন হেড়োভাঙ্গা ৯ নম্বর জঙ্গলে দেখা যায় যে চোরাগোপ্তা ভাবে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা জঙ্গলের বাঁধ বরাবর মধ্যে কিংবা খাড়ির মধ্যে নাইলনের জাল কেটে গোপরে সরাসরি ঢুকে পড়ে কাঁকড়া ধরার জন্য। আবার সেখান থেকেই তারা কাঁকড়া ধরে নিয়ে চলে যায়। কিন্তু তাদের লোভের কারণেই নাইলনের জাল ফেন্সিংগুলো কাটা অবস্থায় পড়ে থাকে। আর সেই নাইলনের জালের কাঁটা অংশ থেকেই বাঘ রাতের অন্ধকারে বেরিয়ে লোকালয়ে চলে আসে। তাই বাঘের লোকালয়ে চলে আসার প্রবণতা কমাতে সাধারণ মৎস্যজীবীদের সচেতন করার জন্যই বিভিন্ন জঙ্গল লাগোয়া এলাকার ফেন্সিং কিংবা গাছের ডালেতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বন বিভাগের পক্ষ থেকে।
সর্তকতামূলক বাণী সহ ব্যানার লেখা হয়েছে সাবধান করে দিয়ে জাল কেটে বাঘের জঙ্গলের মধ্যে না ঢোকার জন্য।সাবধান করে ব্যানার লাগানো রয়েছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা বন বিভাগের পক্ষ থেকে।