Relationship Problem: ‘এক-দু’বার আই লাভ ইউ বলেছি, আমার কোনও ফিলিংসই নেই…’, বাড়ির সামনে প্রেমিকার ধরনা, কিছুতেই সম্পর্ক মানবেন না যুবক

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Jun 04, 2022 | 2:38 PM

Medinipur: উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার লক্ষ্মীপুরে বাড়ি নুরজাহান খাতুনের। অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পোস্তঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ দাস।

Relationship Problem: এক-দুবার আই লাভ ইউ বলেছি, আমার কোনও ফিলিংসই নেই..., বাড়ির সামনে প্রেমিকার ধরনা, কিছুতেই সম্পর্ক মানবেন না যুবক
মোবাইলে ছবি দেখাচ্ছেন নুরজাহান।

Follow Us

মেদিনীপুর: দাসপুরের ছেলেকে ভালবাসেন বারাসতের তরুণী। দু’ বছরের বেশি সময় তাঁদের পরিচয়। একসঙ্গে কলকাতায় কাজও করেছেন। তবে কোভিডের কারণে আপাতত যে যাঁর বাড়িতে। এরইমধ্যে নুরজাহান খাতুন নামে ওই তরুণী শুক্রবার দাসপুরের যুবক রাজেশ দাসের মামার বাড়ির সামনে গিয়ে হাজির হন। বাড়িতে ঢুকতে পারেননি ঠিকই, তবে তাঁর বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন। নুরজাহানের দাবি, এতদিন ঘনিষ্ঠতার পর এখন বিয়ের কথা বলতেই রাজেশ বেঁকে বসেছেন। অন্যদিকে রাজেশের দাবি, প্রথম থেকেই তিনি ওই তরুণীকে জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই সম্পর্ক এগোনো সম্ভব নয়। তারপরও জোর করেছিলেন নুরজাহান। একইসঙ্গে রাজেশের বক্তব্য, দু’ একবার ‘আই লাভ ইউ’ বলেছিলেন নুরজাহানকে। এর বেশি আর কিছুই তাঁদের মধ্যে হয়নি। এই ঘটনায় দাসপুর থানার দ্বারস্থ হয়েছেন তরুণী। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়া থানার লক্ষ্মীপুরে বাড়ি নুরজাহান খাতুনের। অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের পোস্তঙ্কা গ্রামের বাসিন্দা রাজেশ দাস। নুরজাহানের বক্তব্য, একসঙ্গে কাজ করার সূত্রে তাঁদের পরিচয়। যা কয়েক দিনের মধ্যেই প্রেমের চেহারা নেয়। এদিক ওদিক ঘুরেছেন তাঁরা। এমনকী দাসপুরেও এসেছিলেন একবার। সে সময় রাজেশ কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকতেন। এরইমধ্যে কোভিড থাবা বসানোয় বাড়ি ফিরতে হয় তাঁকে। কিন্তু ফোনে দু’জনের কথাবার্তা চলত বলেই দাবি ওই তরুণীর। কিন্তু এখন রাজেশ তাঁকে এড়িয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাকেশকে আটক করে পুলিশ।

তাই প্রেমিককে পেতে শুক্রবার রাত পর্যন্ত দাসপুর থানার বালিপোতা বাজার এলাকায় রাজেশের মামার বাড়ির সামনে ধরনায় বসেন নুরজাহান। তবে রাজেশ সেখানে আসেননি। এদিকে সন্ধ্যা গড়ালেও একা এক তরুণীকে এভাবে বসে থাকতে দেখে পৌঁছয় দাসপুর থানার পুলিশ। তারাই উদ্ধার করে নিয়ে যায় তরুণীকে। নুরজাহান জানান, রাজেশের সঙ্গে কাটানো মূহূর্তের একাধিক ছবি তাঁর মোবাইলে সেভ রয়েছে। পুলিশকে সেগুলো দেখিয়েছেন তিনি। নুরজাহান বলেন, “আমাদের আড়াই বছরের সম্পর্ক। আমরা একসঙ্গে একটা সংস্থায় কাজ করতাম। ২০১৯ সাল থেকে পরিচয়। এখন ও সম্পর্কটা অস্বীকার করছে। কয়েকদিন ধরে আমাকে এড়িয়ে যাচ্ছে। আমি সে কারণেই এতদূর এসেছি। আমি চেয়েছিলাম ওর সঙ্গে সামনাসামনি কথা বলতে। কিন্তু ও আসেনি। সে কারণেই আমি পুলিশের হস্তক্ষেপ চাই। আমি আগেও এখানে আসি। ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। গত ৩১ মে এসেছি আবার।”

এদিকে রাজেশের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি তাঁদের সম্পর্কের কথা স্বীকার করলেও জানিয়ে দেন, বিয়ে না করার কথা তিনি সম্পর্কের শুরুতেই নুরজাহানকে জানিয়েছেন। রাজেশ দাস বলেন, “ওকে আমি অনেক আগেই বলেছিলাম তোর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা এগোবে না। বাড়ির লোক মানবে না। ও আমাকে তখন বলেছিল, ‘যা হবে দেখা যাবে’। তখন আমরা কলকাতাতেই থাকতাম। একসঙ্গে কাজ করতাম। আমি ওকে বারবারই বুঝিয়েছি এই সম্পর্ক কোনওদিনই বিয়ে অবধি যাবে না। কিন্তু ও জোর করত। এখন অন্য সুর। ওকে আমি বেশ কিছুদিন ধরেই বোঝাচ্ছি। আমার বাবা, মায়ের বয়স হচ্ছে। আমার বিয়ে দিতে চায় তাঁরা। আমি কিন্তু ওর সঙ্গে খুব একটা যোগাযোগও রাখছিলাম না। কিন্তু হঠাৎ এখানে এসে হাজির। জানি না ওর মাথায় কী ভূত চেপেছে। একবার দু’বার ওকে আই লাভ বলেছিলাম। তবে ওর প্রতি আমার সেরকম কোনও ফিলিংসই নেই। দু’বছর আগের ঘটনা। লকডাউন থেকে তো বাড়িতেই আছি। কলকাতায়ও যাইনি।”

Next Article