মেদিনীপুর: ডিএর (DA Protest) দাবিতে সোমবার দিকে দিকে কর্মবিরতি পালন করেন সরকারি কর্মীরা। স্কুল থেকে স্বাস্থ্যকেন্দ্র কিংবা আদালত, সর্বত্রই এদিন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ডাকে পালিত হয়েছে কর্মবিরতি। এই কর্মবিরতির জেরে একাধিক স্কুলে দেখা গেল চক ডাস্টার হাতে ক্লাস নিচ্ছে কোনও পড়ুয়া। ঘাটালের কোন্নগর এলাকায় প্রসন্নময়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ রেখে কর্মবিরতিতে শামিল হন শিক্ষক শিক্ষিকারা। এদিকে নিয়ম মেনেই সপ্তাহের প্রথম দিন স্কুলে হাজির হয় পড়ুয়ারা। গিয়ে দেখে স্যরদের ‘ছুটি’ চলছে। এরপর ক্লাস নিতে শুরু করে তারা নিজেরাই। চক, ডাস্টার হাতে ব্ল্যাকবোর্ডে শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায় স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী সঞ্চিতা মণ্ডল বলে, “স্যররা সবাই স্কুলে এসেছেন। কিন্তু কেউ ক্লাস নেননি। স্যরদের আজকে ছুটি। তা বলে কি আমরা পড়ব না? তাই আমরা নিজেরাই সকাল থেকে ক্লাস নিচ্ছি।”
অন্যদিকে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর দু’নম্বর ব্লকের নবীন মানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাইস্কুলের শিক্ষকরা সোমবার স্কুলের প্রধান গেটের সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে বসে কর্মবিরতি পালন করেন। এদিন ১৭ জন শিক্ষক এই আন্দোলনের সামিল হন। স্কুল সূত্রে খবর, এই স্কুলে ১৭ জন স্থায়ী শিক্ষক আছেন, ২ জন প্যারা টিচার এবং ৩ জন শিক্ষাকর্মী।
গত ২৭ জানুয়ারি থেকে কলকাতার ধর্মতলায় আন্দোলনে বসেছেন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, চিকিৎসক, নার্স, পুরসভার কর্মী, আদালতের কর্মী, পঞ্চায়েত কর্মীদের ২৮টি সংগঠন। তারা নিজেদের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ নাম দিয়েছে। এখনও অবধি মোট ৩৪টি সংগঠন সংগ্রামী যৌথমঞ্চের ব্যানারে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসেছেন। সরকারি কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে শূন্যপদে স্বচ্ছ নিয়োগই তাদের দাবি।
এই দাবিকে সামনে রেখে সোমবার ঘাটাল মহকুমা আদালতেও কর্মবিরতি হয়। হাতে ফ্লেক্স নিয়ে স্লোগান দিয়ে কর্মবিরতি পালন করেন ঘাটাল মহকুমা আদালতের কর্মীরা। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই কর্মবিরতির জেরে ভোগান্তিতে পড়েন বহু বিচারপ্রার্থী।