মেদিনীপুর (ঘাটাল): বাঁধ মেরামতের কাজের দখলদারি কার হাতে থাকবে এই নিয়ে ঝামেলা। সেই ঝামেলাতেও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযাগ। শুধু দ্বন্দ্বই নয়, তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যকে মারধরেরও অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বুথ সভাপতি ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা মারধরের অভিযোগ তুলেছেন বুথ সভাপতিও। পঞ্চায়েত ভোটের আবহে জেলায় জেলায় শাসকদলের দলাদলির অভিযোগ উঠছে। সেই তালিকায় এবার যুক্ত হল মেদিনীপুরের ঘাটাল ব্লকের আজবনগর। আজবনগর গ্রামপঞ্চায়েতের পান্না পূর্ব বুথে শুক্রবারই এই গোলমালের ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের বুথ সভাপতি আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন।
আজবনগর গ্রামপঞ্চায়েতের পান্না পূর্ব বুথের পঞ্চায়েত সদস্য মণ্টু ধাঁড়া। এলাকায় সেচ দফতরের উদ্যোগে একটি বাঁধ মেরামতের কাজ হওয়ার কথা ছিল তাঁর এলাকায়। তা নিয়ে শুক্রবার আলোচনা চলছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। মণ্টু ধাঁড়ার অভিযোগ, হঠাৎই সেখানে বুথ তৃণমূলের সভাপতি দীপঙ্কর খাঁড়া ও বুথের সহ-সভাপতি শক্তিপদ খাঁড়ার অনুগামীরা হাজির হন। দীপঙ্করও ছিলেন বলে অভিযোগ। সেখানেই মণ্টুকে মারধর করা হয় বলে দাবি তাঁর।
মণ্টু ধাঁড়া বলেন, “আমাদের এলাকায় সেচ দফতরের কাজ হবে বলে ঠিকাদাররা দেখতে গিয়েছেন। কীভাবে কাজ হবে দেখছিলেন। কোথা থেকে বুথ সভাপতি দীপঙ্কর খাঁড়া ও শক্তি খাঁড়া এসে বলছেন কাজটা তাঁরা করবেন। তাঁরাই দেখভাল করবেন। অথচ আমিও তৃণমূলের। লুটেপুটে খাবে বলে কাজ তাঁরা করবেন বলছেন। আমাকে মেরেছেন পর্যন্ত। আমি থানায় এসেছি অভিযোগ করতে।”
অন্যদিকে হাসপাতালের বেডে বসে দীপঙ্কর ধাঁড়া বলেন, “গত ২ তারিখ আমাদের বুথে সংসদ সভা ছিল। সেই সভাকে কেন্দ্র করে প্রধানের বিরুদ্ধে পোস্টার দেন মন্টু ধাঁড়া। এ নিয়ে সংসদ সভা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরই শুক্রবার এক ঠিকাদার আমাকে ফোনে জানান, নদী ভাঙনের একটা কাজ হচ্ছে দেখে যেতে। আমি যেতেই মণ্টু বলেন, সংসদ সভা করতে দিইনি, এখন এখানে এসে আমাদের ঠিকাদারের সঙ্গে কথা বলছিস? বলতে বলতে আমাকে মারধর করে। আমার চশমাটা ভেঙে দেয়। পিঠে এত ব্যথা যে রাতে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।”
বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস চোখ বন্ধ করলেই বিজেপিকে দেখে, বিজেপিকে ভয় পায়। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে বিজেপির ঘাড়ে ঠেলতে চায়। এতে লাভ হবে না। ওদের দলাদলির জেরেই এসব হচ্ছে। ওরা যে বলছে গোপনে বিজেপি করে। সেভাবে দেখলে তো পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল খুঁজেই পাওয়া যাবে না।”