মেদিনীপুর: তৃণমূলের (Trinamool Congress) বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে বিধায়কের মন্তব্য ঘিরে তৈরি হল বিতর্ক। নারায়ণগড় বিধানসভার কুনারপুরে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট নিদান দেন বিজেপি ঘরে ঢুকলে ঝাঁটা মেরে তাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ১০০ দিনের কাজে অন্যান্য রাজ্যকে টাকা দেওয়া হলেও বঞ্চনার শিকার হয় বাংলা। যদিও পাল্টা বিজেপির তরফে বলা হয়, তৃণমূল বিধায়ক দলের সংস্কৃতি অনুযায়ী কথা বলছেন। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে মানুষ ঝেঁটিয়ে তাড়াবেন তৃণমূলকে।
নারায়ণগড় বিধানসভার কুনারপুরে রবিবার ছিল বিজয়া সম্মিলনী। সেই মঞ্চ থেকেই নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট বলেন, “বিজেপির বাবার টাকা? সংবিধানের আইন বলে কাজ করলে টাকা তার প্রাপ্য। মহারাষ্ট্রের লোক যদি কাজ করলে টাকা পায়, উত্তর প্রদেশের লোক কাজ করলে টাকা পায়, অসম পায় বাংলা কাজ করলেও টাকা পাবে না কেন? বিজেপিরা ঘরে ঢুকলে ঝাঁটা মেরে তাড়ান। বিজেপিকে কোনওভাবে আসতে দেওয়া যাবে না। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। এ বাংলাকে আমরা কলুষিত হতে দেব না।”
#WATCH: ‘বিজেপি ঘরে ঢুকলে ঝাঁটা মেরে তাড়ান’, নারায়ণগড় বিধানসভার কুনারপুরে বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে মন্তব্য নারায়ণগড়ের তৃণমূল বিধায়ক সূর্য অট্টের। ১০০ দিনের কাজের টাকা নিয়ে কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ তুলে এ কথা বলেন তিনি।
WATCH LIVE: https://t.co/gXqO63jjzL@BJP4Bengal pic.twitter.com/RBjUoxpWaH
— TV9 Bangla (@Tv9_Bangla) November 6, 2022
এ প্রসঙ্গে বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির মুখপাত্র অরূপ দাস বলেন, “এটাই তো তৃণমূলের সংস্কৃতি। এটাই ওদের কালচার। এতে নতুন কী আছে? আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি অসভ্য, বর্বর, চোরদের নিয়ে এই দলটা তৈরি হয়েছে। তাদের দলের বিধায়কের মুখের ভাষা তো এরকম হবেই। কেন্দ্রীয় সরকার টাকা পাঠাবে সেই টাকায় আপনারা খেলা-মেলা-মোচ্ছব করবেন, কাটমানি খাবেন। নিজেদের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স বাড়াবেন। সাধারণ মানুষের পরিষেবার পরিবর্তে নিজেদের উন্নয়ন করবেন। হিসাব দেবেন না সেসবের। অথচ চাইবেন কেন্দ্র সরকার টাকা দিয়ে যাবে। এটা তো হতে পারে না। বিধায়ক তাঁর দলের সংস্কৃতি মেনেই কথা বলেছেন, তৃণমূলেরই পরম্পরা এটা। তবে সূর্যবাবুকে আশ্বস্ত করতে চাই ভারতীয় জনতা পার্টিকে ঝাঁটা মারার মতো সাধ্য আপনাদের নেই। কারণ বাংলার মানুষ আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপনাদের ঝেঁটিয়ে বিদায় করবে। টেট, এসএসসি থেকে ১০০ দিনের কাজ, দুর্নীতি কোথায় গিয়েছে তা মানুষ দেখেছেন।”