ঘাটাল: হঠাৎ বাড়ির দরজায় কড়া। দরজা খুলতেই চমকে ওঠেন গৃহকর্ত্রী। আরে বাড়িতে স্বয়ং দেবী লক্ষ্মী! হাতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। পাশে আবার দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাংলার কন্যাশ্রীও। লক্ষ্মীর মুখে মিষ্টি হাসি। হাত উঁচিয়ে আর্শীবাদ করলেন তিনি। আর বললেন, তাঁকে পাঠিয়েছেন ‘মা মমতা’। জোড়া ফুলে ভোটটা যাতে মানুষ দেয়, সেই বার্তাই ‘মা’ পৌঁছে দিতে তাঁকে পাঠিয়েছেন। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের বীরসিংহ গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধানগর, নবগ্রাম, সিংহডাঙ্গা সহ বিভিন্ন এলাকায় চলছে অভিনব প্রচার।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের বাকি আর তিন দিন। তার মধ্যে প্রচারে ঝড় তুলেছে শাসক-বিরোধী সব পক্ষই। মেদিনীপুরের শাসক নেতৃত্ব প্রচারে অভিনবত্ব আনে।
লক্ষ্মী ঠাকুর সেজে ভোটারদের কাছে গিয়ে বলছেন স্থানীয় নেত্রী। বুধবার সকালেও ঘাটালের এক গ্রামে ধরা পড়ল এই চিত্র। তিনি বলছেন, “আমাকে মা মমতা পাঠিয়েছেন, ভোটটা জোড়া ফুল চিহ্নে দেবেন। আমি আর আসতে পারব না, নির্বাচন চলছে বলে এসেছি, যদি কোনও অসুবিধা হয়, আমাদের ভাইদের জানাবেন।” প্রচার শুনে কর্ত্রীরা তো দারুণ খুশি। মুখে হাসি। লক্ষ্মীকে দেখতে পাড়ার অলিগলিতে তখন ভিড়।
ভোটারদের নজর কাটতে লক্ষ্মী সেজে প্রচার সারলেন তৃণমূল নেত্রী। সঙ্গে কন্যাশ্রী প্রাপক মেয়েরাও। নেতৃত্বের দাবি, মূলত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বাংলায় যে উন্নয়ন হয়েছে, সেই বার্তাই আরও একবার দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন তাঁরা। তবে সেই প্রচারে অভিনবত্ব এনেছেন। ব্যালট বক্সে রায় যেদিকেই যাক না কেন, গ্রামের মহিলারাও বলছেন, এভাবে সাত সকালে বাড়ির দুয়ারে লক্ষ্মীর আগমনে তাঁদের মনটা ফুরফুরে তো বটেই!