দাসপুর: বিয়ের পর থেকে সাংসারিক অশান্তি লেগেই থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্য়ে। অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা পণের টাকা দাবি করতেন। বিয়ে হয়ে যাওয়ার পর বারেবারে বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দিতেন। এরপর মঙ্গলবার সকালে খারাপ খবর এল বাপের বাড়ির সদস্যদের কাছে। তাঁরা জানতে পারলেন মৃত্যু হয়েছে তাঁদের মেয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর থানার ডিহিপলশা এলাকার।
মৃতের নাম সুদিপা খামরুই। তিনি কেলেগোদা এলাকার বাসিন্দা। পরিবার সূত্রে খবর, চার বছর আগে নির্মল দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় সুদিপা খামরুইয়ের। দম্পতির এক সন্তানও রয়েছে। মৃতের পরিবারের দাবি, আজ হঠাৎ তাঁর শ্বশুরবাড়ির পরিবারের লোকজন খবর দেয় তাঁদের মেয়ে অসুস্থ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এই খবর পেয়ে খবর পাওয়া মাত্র তৎক্ষণাৎ সুদিপার বাপের বাড়ির সদস্যরা এসে উপস্থিত হয় সোনাখালী গ্রামীণ হাসপাতালে। পৌঁছে দেখেন মেঝেতে কাপড় ঢাকা অবস্থায় তাদের মেয়ে পড়ে রয়েছে। গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এরপরই মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির সদস্যরা দাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত গৃহবধূর শ্বশুর গোবিন্দ দাসকে গ্রেফতার করে পুরো ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে দাসপুর থানার পুলিশ। মৃতের মা বলেন, “মেয়ের বিয়ে চারবছর হয়েছে। ওরা গুজরাট চলে যায়। এরপর সন্তান আসা নিয়ে ঝামেলা হচ্ছিল। এরপর আমায় মেয়ে জানিয়েছিল ওরা খুব মারধর করে। তখন আমি বলি দেশে ফেরত আসতে। ও চলেও আসে। এখানে আসার পর টাকা-পয়সা নিয়ে অশান্তি হচ্ছিল। এরপর আমায় ফোন করে বলে আমার মেয়ে নাকি আত্মহত্যা করেছে। আসলে ওরাই মেরে দিয়েছে।”