ধূপগুড়ি: এবার ধূপগুড়িতে (Dhupguri) নাবালিকা গণধর্ষণ। এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। অভিযোগ, থানায় এফআইআর করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের। এলাকার মাতব্বরদের হস্তক্ষেপে শুরুতে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি তারা। তারাই নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে সালিশি সভা করে মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।
এদিকে নির্যাতিতা নাবালিকা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় ধূপগুড়ি গ্ৰামীণ হাসপাতালে। তবে সেখান তার চিকিৎসার পরিকাঠামো না থাকায় তাকে ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতাল রেফার করা হয়। কিন্তু, অর্থ সঙ্কটের জেরে তারপরেও ৩ ঘণ্টার বেশি সময় নির্যাতিতা পড়ে থাকে ধূপগুড়ি হাসপাতালেই। অর্থের অভাবে অ্যাম্বুলেন্স জোগাড় করতে পারছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। পুলিশের কাছে খবর গেলেও তারা শুরুতে হাসপাতালে কেন এলেন না সে প্রশ্নও ওঠে। পরবর্তীতে সংবাদমাধ্যমের হস্তক্ষেপে সেই নির্যাতিতাকে ধূপগুড়ি থেকে জলপাইগুড়ি পাঠানো হয়। এদিকে তখনই আবার পুলিশ সুপরারের হস্তক্ষেপে মাঝ রাস্তা অ্যাম্বুলেন্স ঘুরিয়ে থানায় নিয়ে আসা হয় নির্যাতিতাকে। দায়ের হয় অভিযোগ। তদন্তে নামে পুলিশ। যদিও এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি বলে জানা যাচ্ছে।
ইতিমধ্যেই নির্যাতনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত যুবকের একটি কথোপকথনের অডিও টেপ ভাইরাল হয়। যদিও সেই অডিও টেপটির সত্যতা যাচাই করেনি টিভি-৯ বাংলা। যাতে শোনা যাচ্ছে সে একা নয়, তার সঙ্গে আরও ৪-৫ জন মিলে নাবালিকাকে ধর্ষণ করে বলে দাবি তার। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই নতুন করে চাপান-উতর শুরু হয়েছে গোটা এলাকায়। শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালের চাইল্ড হাবে নির্যাতিতা নাবালিকাকে ভর্তি করেছে পুলিশ।