বর্ধমান: রাজ্যে বর্ষা প্রবেশ করেছে। ইতিমধ্যে বিক্ষিপ্তভাবে দক্ষিণবঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে বৃষ্টি। বুধবারও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুধু বৃষ্টিই নয়, সঙ্গে বজ্রপাতও হয়েছে। আর তার জেরে একদিনে চার চারটি মৃত্যুর খবর। বজ্রাঘাতে শুধু বর্ধমানেই প্রাণ হারালেন চারজন। শুধু তাই নয়, সূত্রের খবর, এই নিয়ে রাজ্যে একদিনে ১২ জনের মৃত্যু হল বজ্রাঘাতে।
জানা গিয়েছে, জেলার দেওয়ানদিঘি থানার তালিত স্টেশন সংলগ্ন খেলার মাঠে দুপুর নাগাদ খেলা করছিল কয়েকজন নাবালক। সেই সময় ঝেঁপে বৃষ্টি নামে। অনবরত পড়তে থাকে বাজ। সেই বাজ পড়ে গুরুতর আহত হন দেব হরিজন (১৫) নামে এক কিশোর। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান হাসপাতালে। সেখাই মৃত্যু হয় তার।
অপরদিকে, রায়নার বনগ্রামের বাসিন্দা মুক্তার শেখ (৩৬)। তিনি গতকাল মাঠে গরু চরাচ্ছিলেন। সেই সময় বজ্রাঘাতে আহত হন তিনি। তাঁকেও বর্ধমান হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে সেখানে মৃত্যু হয় মুক্তারের।
বর্ধমান থানার কাঁঠালগাছি গ্রামের বাসিন্দা রামপ্রসাদ ঘোরুই (৪০)। তিনিও মাঠে গরু চড়াতে গিয়ে বজ্রাঘাতে আহত হন। তাঁকেও মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা আর বাঁচাতে পারেননি।
এর পাশাপাশি খন্ডঘোষের দইচাঁদা গ্রামে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হয়েছে একজনের। আহত হয়েছেন চার জন। মাঠে চাষের কাজ করার সময় বিপত্তি ঘটে। মৃতের নাম মণিরুল শেখ ইসলাম।
প্রসঙ্গত, শুধু বর্ধমান নয়, মালদহের মোথাবাড়ির একটি স্কুলের কাছে বাজ পড়ে। জানা যায়, স্কুল চলাকালীন সময়ে মোথাবাড়ির বাঙিটোলা হাইস্কুলের কাছেই বজ্রপাত হয়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে স্কুলের পড়ুয়ারা। পাঁচ পড়ুয়াকে তৎক্ষনাত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।অন্যদিকে এই বাঙিটোলাতেই এদিন বাগানে বাজ পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই শিশুর। পাশাপাশি কালিয়াচকে এক ৬ বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু হয়েছে বাজ পড়ে।