পূর্ব বর্ধমান: শুক্রবার বিকেলে ফের বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানে। বৃহস্পতিবারই ৪ জনের মৃত্যু হয় এই জেলায়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যু হল আরও তিনজনের। এদিন আহত হয়েছেন ১১ জন। অর্থাৎ দুদিনে বজ্রাঘাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৭।শুক্রবার ফের বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি হয় জেলায়। ভাতারে মৃত্যু হল এক কৃষকের। জখম হন আরও ৩ জন। মৃতের নাম বাদকু কালসা (৩৮)। বাড়ি ভাতারের মাহাতা গ্রামে। তিনি ভাতারের রায়রামচন্দ্রপুর গ্রামে ধান কাটার কাজ করছিলেন। সেই সময় ঘটে বজ্রপাতের ঘটনা। আহত হন তার সঙ্গে থাকা আরও তিন শ্রমিক।
অন্যদিকে, মন্তেশ্বরে বজ্রাঘাতে এক মহিলার মৃত্যু হয়, আহত হন একজন। মৃতের নাম চম্পা মালিক (৪৩)। তাঁর বাড়ি বাঘাসন পঞ্চায়েতের শুশুনিয়া গ্রামে। পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে বাড়ি লাগোয়া খামার বাড়িতে ওই মহিলা যখন বোরো ধান মেলার কাজ করছিলেন, তখনই আচমকা আকাশে মেঘ জমে এবং বজ্রপাত শুরু হয়। কিছুক্ষণ পরই এলাকার মানুষজন ওই মহিলাকে খামার বাড়িতে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তাঁকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পাশাপাশি মন্তেশ্বরের পুটশুড়ি পঞ্চায়েতের বিঘা গ্রামে বাজ পড়ে আহত হয়েছেন দুলালী মন্ডল নামে এক মহিলা। আহত মহিলা পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনিও খামারবাড়িতে কাজ করছিলেন। ধান জড় করার কাজ করছিলেন, সে সময় আচমকা বজ্রপাতে অজ্ঞান হয়ে যান তিনি। পরিবারের লোকজন দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে মন্তেশ্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই মহিলা।
মঙ্গলকোটের পিলশুয়া গ্রামে পরপর দুটি বাড়িতে বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে। মৃত্যু হয় এক কিশোরের। আহত হয়েছে ৬ জন। মৃতের নাম মোবারক সেখ ওরফে আকাশ (১২)। অন্যদিকে মঙ্গলকোটের কামালপুরে মাঠে ধান কাটার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় আহত হন লক্ষ্মী মাড্ডি।
বৃহস্পতিবারও বজ্রপাতে একাধিক জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুক্রবারই তিনি টুইটে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে বজ্রপাতে মর্মান্তিক প্রাণহানির খবরে আমি ভারাক্রান্ত। যাঁরা প্রাণ হারিয়েছেন তাঁদের পরিবারের প্রতি আমি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।