কালনা: স্কুলের জন্য বেরিয়েছিল বছর নয়ের শিশুটি। তবে রাত পোহালেও বাড়ি না ফেরায় চিন্তায় পরে পরিবারের সদস্যরা। এরপর থানায় দায়ের হয় অভিযোগ। পরে উদ্ধার নাবালকের দেহ। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। তারপর উদ্ধার হয় আসল কারণ। যা দেখে শিউরে উঠছে খোদ পুলিশও।
কী ঘটেছিল?
কালনার ঘটনা। পরিবার সূত্রে খবর, এলাকার এক মহিলার সঙ্গে আলি শেখ ও আবু শেখ নামে দুই ভাইয়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এই আলি শেখেরই সন্তান বেলুয়ার শেখ যার দেহ উদ্ধার হয়েছে।
সূত্রের খবর, ওই মহিলাকে নিয়ে দিন কয়েক আগে পালিয়ে যান আলি। এরপরই দাদার প্রতি প্রতিহিংসাবশত আবুর সব রাগ গিয়ে পরে দাদার ছেলে অর্থাৎ নিজের ভাইপো বেলুয়ার শেখের উপর। অভিযোগ, ঠান্ডা মাথায় খুন করার পরিকল্পনা করে তাকে।এরপর সেই মত গত বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ স্কুল ছুটির পর ভাইপো বেলুয়াকে আইসক্রিম খাওয়ার লোভ দেখান তিনি। কাকার সঙ্গে আইসক্রিম খেতে চলে যায় ছোট্ট বেলুয়ার। অভিযোগ, এরপর পাটিকেল ডাঙা গ্রামের শেষ সীমান্তে নিয়ে গিয়ে নির্জন ঝোপে শ্বাসরোধ করে খুন করে নাবালককে। তারপর মৃতদেহ লুকিয়ে রাখে।
এ দিকে, গভীর রাত পর্যন্ত ছোট্ট শিশুকে খুঁজে না পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার তদন্তে নামে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তখনই আবু স্বীকার করে নেন সে ভাইপোকে খুন করে ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে দিয়েছে।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রুখতে গ্রামে রয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মন্তেশ্বর থানার পুলিশ।
এক আত্মীয় বলেন, ‘একটা সাঁওতাল মেয়েকে কেন্দ্র করে দু’জনের মধ্যে উত্তেজনা। এর ফলে দুই ভাইয়ের মধ্যে গণ্ডগোল। তারপর রাগের বসেই খুন করে দাদার ছেলেকে।’