কাটোয়া: মাস কয়েক আগেই পরপর ধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছিল গোটা রাজ্য। কিশোরী বা শিশুর ওপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগও সামনে আসে। সেই বিকৃত মানসিকতার ছবি যখন বারবার সামনে আসছে, তারই মধ্যে বর্ধমানে ঘটে গেল আরও একটি ঘটনা। অভিযোগ শুনে শিউরে উঠছেন প্রত্যেকেই। বিশ্বাস করে প্রতিবেশীর সঙ্গে মাঠে খেলতে ছেড়ে দিয়েছিল বাবা-মা। কিন্তু ৬ বছরের এক শিশুকে যে এ ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হবে, তা ভাবেনি পরিবার। এমনকি ফিরে এসে সে কথা জানাতে পারেনি শিশুও। তবে তার শারীরিক অবস্থাই জানান দেয় যে সে সুস্থ নেই, তার সঙ্গে ভয়ঙ্কর কিছু একটা ঘটে গিয়েছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর জানা গেল সবটা। এরপরই অভিযোগ দায়ের করেছে শিশুর পরিবার।
পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার গাঙ্গুলিডাঙা গ্রামের ঘটনা। পাখি ধরে দেব বলে ৬ বছরের ওই শিশুকে মাঠে নিয়ে গিয়েছিল এক যুবক। বছর ২০-র উকিল শেখ ওই পাড়াতেই থাকতেন। পরিচিতিও রয়েছে শিশুর পরিবারের সঙ্গে। তাই তাঁর সঙ্গে ছেলেকে ছেড়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেননি কেউই। কিন্তু হাসিমুখে যে ছেলে বাড়ি থেকে পাখি দেখতে গেল, ফেরার পর দেখা গেল তার মুখ থমথমে।
অভিযোগকারী গৃহবধূ জানিয়েছেন, তাঁর ৬ বছরের সন্তানের ওপর নির্মম যৌন নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন শিশুর মা। পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। শিশুর মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে দেখে তিনি প্রথমে বুঝতে পারেন ঘটনাটি। তারপর শিশুকে জিজ্ঞাসা করতেই বেরিয়ে আসে সত্যিটা।
জানা গিয়েছে, শিশু যাতে কাউকে ওই অত্যাচারের কথা না বলে, তার জন্য ভয় দেখিয়ে ছিলেন অভিযুক্ত যুবক। কিন্তু ছেলেটি যন্ত্রণায় কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। পরে শিশুর মলদ্বার দিয়ে রক্তপাত হতে দেখে গৃহবধূ ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে, কী হয়েছিল? এরপর সমস্ত ঘটনার কথা জানায় ওই শিশু। তারপর তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় মামলা দায়ের করেছে। আপাতত সুস্থ রয়েছে ওই শিশু।