BSNL: অফিসে বসে ৫০ টাকার সিম বেচছেন ৮৫০ টাকায়! বিএসএনএল কর্মীর কাণ্ডে অবাক সহকর্মীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সৈকত দাস

Nov 09, 2021 | 6:25 PM

SIM Card: যে বিএসএনএল মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে এই বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, তিনি একা নন, বিএসএনএলের অনেক কর্মীই ফ্রি সিম ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করেন। যদিও অন্য কর্মীরা তা মানতে নারাজ।

BSNL: অফিসে বসে ৫০ টাকার সিম বেচছেন ৮৫০ টাকায়! বিএসএনএল কর্মীর কাণ্ডে অবাক সহকর্মীরা
প্রতীকী ছবি

Follow Us

কাটোয়া: অফিসের ভিতরে বসেই ৫০ টাকার বিএসএনএল (BSNL) সিম ৮৫০ টাকায় গ্রাহককে বিক্রির অভিযোগ উঠল কাটোয়ার (Katowa) এক বিএসএনএল কর্মীর (BSNL Worker) বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার এই অভিযো গকে কে তীব্র উত্তেজনা ছড়াল এলাকায়। অফিসের ভিতর বসে সিম (SIM) বিক্রির এই কালোবাজারি খবর পেতেই নড়েচড়ে বসেছে বিএসএনএল দফতর। ইতিমধ্যেই একটি তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে বলে দফতর সূত্রে খবর।

জানা গিয়েছে, মাস দুই আগে কাটোয়া শহরের বাসিন্দা অভিষেক মুখার্জি তাঁর পুরনো বিএসএনএল সিম-টি খারাপ হয়ে যাওয়ারয় বিএসএনএল অফিস থেকে নতুন সিম আনতে যান। সেই সময় বিএসএনএল অফিসের এক মহিলা কর্মী তাঁর কাছ থেকে গুনে গুনে ৮৫০ টাকা নেন। কিন্তু একটা সিম পাল্টানোর খরচ এত! সন্দেহ হওয়ায় খোঁজ-খবর শুরু করেন অভিষেক বাবু। এর পর বন্ধুবান্ধবদের কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন যে ওই সিম পরিবর্তন করতে মাত্র ৫০ টাকা লাগে। এই কথা শুনে বিএসএল দফতরে যান অভিষেকবাবু। সেখানকার আধিকারিকরা একই কথা বলেন তাঁকে। জানানো হয় যে ৮৫০ টাকা নয়, মাত্র ৫০ টাকা লাগে সিম বদল করতে। কিন্তু তাঁর কাছে যে সাড়ে আটশো টাকা নেওয়া হল!

অভিষেক বাবু ফের ওই মহিলা কর্মীর কাছে ফিরে যান। অভিযোগ, তাঁকে জিজ্ঞেস করলে তিনি তখনও জানান যে ৮৫০ টাকাই এই সিমের খরচ।  যার ভিডিয়ো অভিষেকবাবুর কাছে আছে বলে দাবি করেছেন। এর পর তিনি বিএসএনএল আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ জানান ওই কর্মীর বিরুদ্ধে। বিএসএনএলের আধিকারিক জানিয়েছেন একটি অভিযোগ তিনি পেয়েছেন।

ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও তৈরি হয়েছে। তবে যে বিএসএনএল মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে এই বেশি টাকা নেওয়ার অভিযোগ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, তিনি একা নন, বিএসএনএলের অনেক কর্মীই ফ্রি সিম ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা দিয়ে বিক্রি করেন। যদিও অন্য কর্মীরা তা মানতে নারাজ। তাদের বক্তব্য নিজে বাঁচতে এখন কর্মীদের ফাঁসানো হচ্ছে। এদিকে ওই মহিলা কর্মীর দাবি তাঁকে ফাঁসাচ্ছে ইউনিয়ন।

এদিকে ইউনিয়নের তরফে বলা হচ্ছে, এমন কাজ কেন তারা করবে। একটা ইউনিয়নের কাজ কখনও স্টাফের বিরুদ্ধে হয় না। আর কোনও চোরকে ইউনিয়ন প্রশয় দেয় না। এটা পুরোপুরি মিথ্যা অভিযোগ। কর্তৃপক্ষ এর ব্যবস্থা নেবে বলে মন্তব্য করেন কর্মীদের ইউনিয়নের এক ব্যক্তি।

তরুণ কুমার মুখার্জি নামে এক বিএসএনএল কর্মীর আবার দাবি, নিজের খারাপ কাজ অন্যের ওপর চাপানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এরকম অভিযোগ ওঠার কথা নয়। তবে আমাদের কাউন্টার থেকে এমন অসৎ কাজ হয় না (বিএসএনএল কাটোয়া)। তবে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দফতর থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সব মিলিয়ে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র শোরগোল শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন: Deocha Pachami: সিঙ্গুরের মেঘ ডেউচায়! প্যাকেজ ঘোষণার পরেও নিমরাজি আদিবাসীরা বলছেন, ‘বাপ-মায়ের ভিটে ছাড়ব না’ 

Next Article