কালনা: বাড়ির বউকে শ্বাসরোধ করে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ স্বামী-সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই অত্যাচার করা হতো তাঁদের মেয়ের উপর। সম্প্রতি সেই মাত্রা আরও বেড়ে গিয়েছিল। তাতেই শেষ পর্যন্ত তাঁকে মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও শ্বশুরবাড়ির লোকেদের দাবি, শাশুড়ির সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়েছিল তাঁদের বাড়ির বউয়ের। সে কারণেই অভিমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই গৃহবধূ।
শনিবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে কালনা থানার অন্তর্গত রামেশ্বরপুর এলাকায়। মৃতার নাম সুস্মিতা মণ্ডল। স্থানীয় বাসিন্দারাই ওই গৃহবধূর দেহ উদ্ধার করে কালনা হাসপাতালে এনেছিলেন। এদিকে ঘটনার পরপরই মৃতার শ্বশুর হাসপাতালে এলে তাঁকে ঘিরে ধরে গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেরা। শুরু হয় বচসা। মুহূর্তেই তা তীব্র আকার ধারণ করলে খবর যায় পুলিশে। শেষ কালনা থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যদিও মৃতার শ্বশুরেরও একই দাবি, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে বচসার কারণেই রাগে-অভিমানে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁর বৌমা। যদিও তাঁর কথা মানতে নারাজ মৃতার বাপের বাড়ির লোকজন। তাঁদের দাবি, জামাই অনেকদিন থেকেই ওই মহিলার উপর লাগাতার নির্যাতন চালাত। তাঁকে সঙ্গ দিত শাশুড়ি ও ননদও। পরিকল্পনা করেই মেরে ফেলা হয়েছে মহিলাকে। প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে, তারপর গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দ্রুত এ ঘটনায় তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না মৃতার স্বামী।