কেতুগ্রাম: সামনেই পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election)। যে কোনও মুহূর্ত ঘোষণা হয়ে যেতে পারে দিনক্ষণ। ভোটের আবহে ক্রমেই তপ্ত হচ্ছে বঙ্গের মাটি। এদিকে কোথাও গোষ্ঠী কোন্দল, কোথাও আবার নেতাদের বাড়ি থেকে বোমা উদ্ধারের ঘটনায় অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদল তৃণমূলের কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। এবার প্রচুর তাজা বোমা উদ্ধার হল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) কেতুগ্রামে। এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। পুলিশ সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে আনখোনা গ্রাম থেকে কালু শেখ নামে এক দুষ্কৃতীকে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়।
শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। তাঁকে জেরা করেই আনখোনার দিঘিরপাড় থেকে বোমার সন্ধান পাওয়া যায়। জেরায় ধৃত জানায় একচি ব্যাগের মধ্যে রাখা রয়েছে বোমাগুলি। এদিকে এ ঘটনায় সিপিএমের দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল। ঘাসফুল শিবিরের অভিযোগ, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তি পাকানোর জন্যই বোমাগুলি মজুত করেছিল সিপিএমের লোকেরা। অন্যদিকে সিপিএমের তরফ থেকে স্বীকার করা হয়েছে কালু শেখ তাঁদেরই সমর্থক। যদিও স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, সিপিএম করার জন্য তৃণমূল আর পুলিশ তাঁকে ফাঁসিয়েছে।
অন্যদিকে একদিন আগে আবার পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের তুতরাঙা গ্রামে অবৈধ বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জখম দু’জন। যা নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ ৫০ ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি পাকানোর লক্ষ্যে ওই কারখানায় বোম মজুত করা হচ্ছিল। জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাসের অভিযোগ, নির্বাচনে তৃণমূলের ফলাফল খারাপ হবে জেনে এলাকায় বোমা মজুত করছে তৃণমূল। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।