গলসি: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election 2023) যত এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হচ্ছে বঙ্গ রাজনীতির বাতাবরণ। রাজ্যের একাধিক প্রান্ত থেকে বোমা উদ্ধার হচ্ছে। বিরোধীরা অভিযোগ তুলছে, ‘বারুদের স্তুপে বাংলা’। আর এরই মধ্যে ফের বোমা উদ্ধার। ধানজমির মধ্যে জারের ভিতরে বোমা পাওয়া গেল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) গলসিতে। উদ্ধার হল চারটি জার ভর্তি বোমা। শনিবার বিকেলে গ্রামবাসীরা জমিতে মেশিন দিয়ে ধান কাটার সময় একটি হলুদ রঙের জার দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খবর দেন পুলিশে। পুলিশ এসে ওই ধানজমি থেকে আরও তিনটি জার উদ্ধার করে বলে জানান গ্রামবাসীরা।
তবে জারগুলির মধ্যে কতগুলি বোমা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই জারগুলিকে উদ্ধার করে সিআইডির বম্ব ডিসপোজ়াল স্কোয়াডকে খবর পাঠায়। বোমাগুলি এখনও নিষ্ক্রিয় করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। এদিকে এই বোমা উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে রাজনৈতিক চাপানউতর শুরু হয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের বক্তব্য, বিরোধীরাই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছে।
এই ঘটনার সঙ্গে শাসক পক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগ উড়িয়ে তাঁর দাবি, “পশ্চিমবঙ্গকে অশান্ত করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি প্রতিনিয়ত চক্রান্ত করে বেরোচ্ছে। ভেবে দেখুন, কারও কোনও কাজ নেই… ধানজমির মধ্যে বোমা রেখে দেবে? যারা কারও উপর আক্রমণ করতে যাবে, তারা ধানজমিতে বোমা রাখতে যাবে কেন? বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এগুলি করছে, আর সংবাদমাধ্যমকে খবর দিচ্ছে। তারা জানে সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন, মানুষ তাদের সঙ্গে নেই, প্রার্থী দিতে পারবে না। তাই তাদের আগে থাকতে বলতে হবে, যে বোমা দেখিয়ে তাদের প্রার্থী দিতে দেয়নি। বাংলাকে কালিমালিপ্ত করার জন্য এই চক্রান্ত চলছে। আমরাও পুলিশকে বলছি অবিলম্বে এই ঘটনার তদন্ত করুন।”
অন্যদিকে এই গোটা ঘটনাকেই ‘তৃণমূলের কীর্তি’ বলেই খোঁচা দিচ্ছেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র। তাঁর দাবি, “এই রাজ্যে বোমা শিল্প ছাড়া আর কিছুই নেই। এই রাজ্যে চাষের জমিতে বোমা পাওয়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও দেখা গিয়েছে বোমাতে মানুষের হাত চলে গিয়েছে। বাচ্চা ছেলেরা খেলতে গিয়ে মারা যাচ্ছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, এমন বোমা আরও উদ্ধার হবে।”