পূর্ব বর্ধমান: মোবাইল চোর সন্দেহে যুবককে বেঁধে মারধরের অভিযোগ উঠল এবার। কালনার মহিষমর্দিনী এলাকার ঘটনা। এলাকায় একটি মেলা চলছিল। সেই মেলা থেকে মোবাইল চুরি যায় বলে অভিযোগ। স্থানীয় এক যুবকের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাকে সামনে রেখে উত্তপ্ত হয় এলাকা। অভিযোগ, ওই যুবককে ইলেকট্রিক শক পর্যন্ত দেওয়া হয়। এই ঘটনায় স্থানীয় কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর-সহ ৬ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাল্টা মিথ্যা অভিযোগ বলে দাবি করেছেন কাউন্সিলর।
কালনার মহিষমর্দিনীতলায় বুধবার রাতের ঘটনা। মহিষমর্দিনী পুজো উপলক্ষে মেলা বসেছে এলাকায়। সেখানে এসেছে নাগরদোলা। অভিযোগ, এই নাগরদোলা নিয়ে যাঁরা এসেছেন, তাঁদেরই একজনের মোবাইল ফোন চুরি হয়ে যায়। বুধবার গভীর রাতে ঘটে বলে খবর। এই ঘটনাকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয় এলাকা। অভিযোগ, এক যুবককে মারধর করায় এতটাই জখম হন যে কালনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চন্দনা বিশ্বাস বলেন, “আমি সকাল ৮টায় মাঠে যাই। হইচই হচ্ছে শুনি। দেখি একটি ছেলের চোখ ফোলা। কীভাবে কী হল আমি কিছুই জানি না। আমি ইলেকট্রিক শকের ব্যাপারেও কিছুই জানি না। আমি এ নিয়ে কিছুই বলতে পারব না। অভিযোগ যদি করে থাকে ভুল। এসব কিছুই হয়নি। এলাকার লোকজনকে জিজ্ঞাসা করবেন আমি কটায় গিয়েছি। রাত ৩টের ঘটনা, আর আমি গিয়েছি অনেক পরে। একটা মোবাইল চুরি নিয়ে নাকি ঝামেলা শুনেছি। ওরা সঙ্গে সঙ্গে দেখতে পায় বলে এলাকার লোকজন বলছিল। আমি গিয়ে তো বাঁধাও দেখিনি, মারতেও দেখিনি। বরং দেখলাম ছেলেটার বাড়ির লোকজন”
যুবকের পরিবারের দাবি, নিছক সন্দেহের বশে মারধর করা হয়েছে। আক্রান্ত যুবকের খুড়তুতো দাদা বলেন, “নাগরদোলার মালিক সকালেও নেশা করে। দাঁড়াতে পারছে না। জিজ্ঞাসা করি কেন মেরেছ? বলছে মোবাইল চুরির সন্দেহে মেরেছি। আমি বললাম, থানায় জিডি করেছ? বলছে না করিনি। আমি বাধা দড়ি খুলতে গেলে আমার উপরও চেঁচাচ্ছে। আমার কাকার ছেলে, আমি সাহস করে দড়ি খুলে নিয়ে গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করি। ডাক্তার বলছে, সিটি স্ক্যান করাতে হবে, বুকের ছবি করাতে হবে। অবস্থা ভাল না। আমরা গিয়ে দেখি ওখানে স্থানীয় কাউন্সিলর দাঁড়িয়ে।”
আরও খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Tv9 বাংলা অ্যাপ (Android/ iOs)