আউশগ্রাম: দুয়ারে ডাক্তার (Duyare Daktar) কর্মসূচিতে হুকিং করে বিদ্যুৎ ব্যবহার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) আউশগ্রামে। বৃহস্পতিবার আউশগ্রামের রামনগর এলাকায় শুরু হয়েছে ‘দুয়ারে ডাক্তার’ কর্মসূচি। রাজ্য সরকারের নির্দেশে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এই বিশেষ পরিষেবা চালু হয়েছে। আউশগ্রামের রামনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে দুয়ারে ডাক্তার কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ছিলেন পূর্ব বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক সূবর্ণ গোস্বামী, আউশগ্রাম ২ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলি, পঞ্চায়েত সমিতির শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ পদ্মশ্রী পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুজিত চট্টোপাধ্যায়, আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সজীব বিশ্বাস। সূত্রের খবর, এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ৩০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। দাঁত, নাক কান গলা, চর্মরোগ, শিশুরোগ, স্ত্রী ও প্রসূতি, সার্জারি, চক্ষুবিভাগ, ইসিজি ও রক্তপরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল।
সব ঠিকঠাকই চলছিল। কিন্তু আচমকা তাল কাটে বিদ্যুৎ সংযোগের অনুমতি না নিয়ে হুকিং করে বিদ্যুৎ ব্যবহারের অভিযোগ উঠতেই। অভিযোগের তীর ডেকোরেটর মালিকের দিকে। সরকারি অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ হুকিং নিয়ে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় পড়েন অনুষ্ঠানে উপস্থিত সরকারি আধিকারিকরা। ঘটনায় অতিরিক্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “এটা কখনওই কাম্য নয়। সরকার সব কিছু ব্যবস্থা করেছে। বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। সুতরাং এটা একেবারেই ঠিক হয়নি।” পাশাপাশি তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন।
একই কথা বলেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সজীব বিশ্বাসও। তবে অভিযুক্ত ডেকোরেটর মালিক গঙ্গাধর মাজিরের সাফাই, “মাত্র ১ ঘণ্টা তো লাইন নেওয়া হয়েছে।” বুদবুদের স্টেশন ম্যানেজার প্রীতম মণ্ডল বলেন, “৭ তারিখ আমাকে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ফোন করে অনুমতি নেওয়ার পদ্ধতি জানেন।তারপর বৃহস্পতিবার অনুমতি নিয়ে যায়।সব মিলিয়ে দু’দিনে সাড়ে ছশো টাকা বিল ধার্য্য করা হয়েছে। তবে হুকিং করার বিষয়টি তার জানা নেই বলে তিনি জানান।”