পূর্ব বর্ধমান: বিধানসভা ভোটে বিজেপি লিড করায় গত এক মাস ধরে রাস্তায় জমে থাকা জল নিকাশ করছে না স্থানীয় পঞ্চায়েত। অভিযোগ জানাতে গিয়ে শুনতে হয়েছে, “যেখানে ভোট দিয়েছো সেখানে যাও, জল নিকাশ ও রাস্তা সারিয়ে দেবে তারাই।” ফলে জল যন্ত্রনায় গত একমাস ধরে ভুগছেন কেতুগ্রাম (Ketugram) ২ নম্বর ব্লকের উদ্ধারণপুর বাজার এলাকার বাসিন্দারা।
বিজেপি দলের সরাসরি এই অভিযোগ তৃণমূল পরিচালিত কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। বিজেপির এই অভিযোগের পাল্টা সাফাই দিয়েছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান বিকাশ বিশ্বাস। তাঁর বক্তব্য, “বিরোধীদের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। জল জমে ঠিকই তবে তা পঞ্চায়েতের তরফে পাম্প মেশিন লাগিয়ে জল নিকাশ করে দেওয়া হয়।”
তাঁর আরও বক্তব্য. এছাড়াও জেলা পরিষদের তরফে টেন্ডার পাশ হয়ে গিয়েছে, রাস্তা সারাইয়ের কাজ শুরু করা হবে শ্রীঘ্রই বলে জানান তিনি।
কেতুগ্রাম ২ নম্বর ব্লকের উদ্ধারণপুর বাজার এলাকায় দেড় কিলোমিটার রাস্তার অধিকাংশই বর্তমানে জল জমে ডোবায় পরিণত হয়ে রয়েছে। গত একমাস ধরে এই পরিস্থিতি। ফলে বন্ধ রয়েছে এই রাস্তায় যান চলাচল ও মানুষের যাতায়াত।
বদলে রাস্তায় এক বুক সমান জমা জলে সাঁতার কেটে বেড়াচ্ছে হাঁস। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই রাস্তা সারাই হয়নি গত ১০ বছর ধরে। সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে কবেই! আর এখন মাটি বেরিয়ে বড় বড় খানা খন্দ তৈরি হয়েছে রাস্তায়।
তবে স্থানীয় পঞ্চায়েত রাস্তা ও নিকাশি ব্যবস্থায় কেন নজর দিচ্ছেনা, তা নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীদের। জল নিকাশি ও রাস্তা সারাই নিয়ে বহুবার স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি বলে জানিয়েছে এলাকাবাসীরা।
বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্যই কি জল নিকাশি করছে না পঞ্চায়েত? এলাকাবাসীদের একাংশের অভিযোগ, গত বিধানসভা ভোট ও তার আগে থেকেই এই এলাকায় বিজেপি লিড পেয়ে আসছে। এই কারণে ‘শাস্তি’ দিতেই জল নিকাশ করছে না পঞ্চায়েত।
জল জমে থাকার অভিযোগ স্থানীয় পঞ্চায়েতে জানাতে গিয়ে এলাকাবাসীদের শুনতে হয়েছে, “যেখানে ভোট দিয়েছে তাদেরকে বলো জল নিকাশ করে দেবে ও রাস্তা সারিয়ে দেবে।” পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, “আমরা পাম্প বসিয়ে জল বার করি। টানা বৃষ্টিতে এমনটা হচ্ছে। বিরোধীরা বদনাম করার জন্য এমনটা করছে। ”
এদিকে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে নোংরা রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি অনিল দত্ত। এ বিষয়ে কাটোয়ার মহকুমা শাসক জামেলা ফতেমা জেবা জানিয়েছেন, বিষয়টি খোঁজ নেবেন। আরও পড়ুন: ‘দোকানে আমার ছোট ছেলেটা বসেছিল, আচমকাই বোমা মারতে মারতে ঢুকে পড়ল ওরা…’, বছর সাতেকের বাচ্চা দেখল গোটা কাণ্ড