Bengal BJP: শাসক দলের সন্ত্রাসের জের! বন্ধ হওয়া দলীয় কার্যালয় খুলতে তৎপর বিজেপি

TV9 Bangla Digital | Edited By: tista roychowdhury

Jan 14, 2022 | 1:38 PM

Katwa: যদিও কানাঘুষো শোনা গিয়েছে,দলীয় কোন্দলের জেরে নেতাকর্মীরা এই পার্টি অফিসে না আসায় বন্ধ রয়েছে কাটোয়ার কাছারি রোডের বিজেপির নগর কার্যালয়।

Bengal BJP: শাসক দলের সন্ত্রাসের জের! বন্ধ হওয়া দলীয় কার্যালয় খুলতে তৎপর বিজেপি
(প্রতীকী ছবি)

Follow Us

পূর্ব বর্ধমান: দীর্ঘ দিন দরজায় ঝুলছে তালা। চাইলেও দলীয় কার্যালয়ে খুলতে পারেন না বিজেপি কর্মীরা (BJP woerkers)। কারণ, শাসকদলের চোখ রাঙানি। অন্তত এমনটাই অভিযোগ কাটোয়ায় পদ্ম কর্মীদের। এ বার, দায়িত্ব পাওয়ার পরই কাটোয়ায় বন্ধ থাকা বিজেপির দলীয় কার্যালয় খুলতে উদ্যোগী হলেন নতুন জেলা সভাপতি গোপাল মুখোপাধ্যায়। পুরভোটের আগে বন্ধ থাকা পার্টি অফিস খুলে শাসকদলের (TMC) বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে দলীয় কর্মীদের আহ্বান করেন তিনি।

নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সভাপতি গোপাল  মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, দীর্ঘদিন দলের কার্যালয় বন্ধ রাখতে হয়েছে তৃণমূলী সন্ত্রাসের জেরে। পাশাপাশি, প্রশাসন ও পুলিশের তরফে কোনও সাহায্য করা হয়নি বলে অভিযোগ।

গোপাল মুখোপাধ্যায়ের কথায়, “দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সন্ত্রাসের জেরে আমরা দলীয় কার্যালয় খুলতে পারি না। বিধানসভা ভোটের পর থেকেই সন্ত্রাস চলছে। পুলিশ তো সাহায্যই করেনি, উপরন্তু আমাদের দলের কর্মীদের নামে মিথ্যা কেস দিয়েছে। পুরভোটের আগেই তাই পার্টি অফিস খোলার বন্দোবস্ত করছি আমরা। পুরভোটে নির্বাচনী কার্যালয় হিসেবে এই দলীয় অফিসটিকে ব্যবহার করব আমরা। ”

অন্যদিকে বিজেপির এই অভিযোগ সরাসরি উড়িয়ে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমান তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বক্তব্য,  “কাটোয়ায় বিজেপি দল কে কে করে তা জানি না। তো কাকে পুলিশের কেস দেব! আসলেই বিজেপি করার কোন লোকই নেই তাই পার্টি অফিস বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”

যদিও কানাঘুষো শোনা গিয়েছে,দলীয় কোন্দলের জেরে নেতাকর্মীরা এই পার্টি অফিসে না আসায় বন্ধ রয়েছে কাটোয়ার কাছারি রোডের বিজেপির নগর কার্যালয়। প্রাক্তন জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ-সহ আরও কয়েক জন বিজেপি নেতাদের সঙ্গে দলের একাংশ নেতাকর্মীদের বিবাদ রয়েছে। সেই বিরোধের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছিল  বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উপস্থিতিতে দাইহাটের দলীয় বৈঠকে। সেই ঘটনার পর দলের প্রায় ২১ জন নেতা ও কর্মীকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়।

বস্তুত, কাটোয়াতে বিজেপির অন্তর্দ্বন্দ্ব নতুন ঘটনা নয়। বিধানসভা নির্বাচন আবহেও দলীয় কার্যালয় জ্বালিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল দলেরই কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে। ভোটের পর দাঁইহাটে দলের বৈঠকে খোদ দিলীপ ঘোষ ও সুকান্ত মজুমদারের সামনেই  ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন কর্মীরা। বৈঠকের মধ্যেই ইটবৃষ্টি থেকে শুরু করে হাতাহাতি, ভাঙচুর কোনওকিছুই বাকি ছিল না।

যদিও, সেই সময়ে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সুকান্তরা। দিলীপ ঘোষকে পাশে বসিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি মন্তব্য করেন, “এই ধরনের কাজ বিজেপি কর্মীরা করতে পারেন না। আমার বিশ্বাস যাঁরা এমন কাজ করেছেন, তাঁরা বিজেপি কর্মী নন। যদি, কেউ এই বিক্ষোভের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে তবে তাঁর বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ করবে দল।”

তবে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে ক্রমেই বাড়ছে ক্ষোভ। কখনও দলত্যাগ তো কখনও দলীয় গ্রুপ ত্যাগ। সেই তালিকায় দলীয় সাংসদ থেকে বিধায়ক—বাদ নেই কেউ। ইতিমধ্য়েই, রাজ্য বিজেপির সব সেল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিজেপির তরফে জানানো হয়, রাজ্যে যতগুলি সেল রয়েছে বিজেপি, সেগুলি আপাতত ভেঙে দেওয়া হচ্ছে। নতুন করে সেলগুলি গঠন হবে ও নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হবে। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে বিজেপি।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal on Suvendu Adhikari: ‘নেংটি ইঁদুর একটা, চুরি করে জিতে আবার বড় বড় কথা!’

Next Article