বারুইপুর: দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Pargana) জেলার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সুন্দরবন সহ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ এই দু’টি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল। অথচ হাসপাতাল দু’টিতে স্বাস্থ্যপরিসেবা দিন-দিন বেহাল অবস্থায় পৌঁছেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালের এক্সরে মেশিন ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি মেশিন খারাপ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেই কারণেই দূর-দূরান্ত থেকে আসা গরিব মানুষকে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় করেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে থেকে এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি করাতে বাধ্য হতে হচ্ছেন। শুধু তাই নয় হাসপাতালের রোগীদেরকে অহরহ রেফার করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। এই সব একাধিক বিষয় নিয়ে দু’টি হাসপাতালের দায়িত্বে থাকা সুপার ঈশ্বর চট্টোপাধ্যায়কেও একাধিকবার অভিযোগ জানিয়ে লাভের লাভ কিছু হচ্ছিল না।
এই অব্যবস্থার অভিযোগ জমা পড়েছিল বারুইপুর পশ্চিম বিধানসভার বিধায়ক তথা বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পূর্ব বিধানসভার বিধায়ক বিভাস সর্দারের কাছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের কাছেও অভিযোগ জমা পড়েছিল। শেষমেষ রবিবার হাসপাতালের অসুখ সারাতে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হলো জরুরী ভিত্তিত।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিমান বন্দোপাধ্যায়(Biman Banerjee) ও বিভাস সর্দারের (Bibhas Sardar) সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। ছিলেন জেলার ও মহাকুমার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। বৈঠকে একাধিক বিষয়ে ক্ষোভ উগরে দেন উপস্থিত ব্যক্তিরা। পাশাপাশি হাসপাতাল সুপারকেও নিয়মিত পাওয়া পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ জানানো হয়। সূত্রের খবর, বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ও হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে তার অসন্তোষ প্রকাশ করেন।এই প্রসঙ্গে রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী বলেন, “কেন রোগীদেরকে বারবার অন্য হাসাপাতালে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে তা হাসপাতাল সুপারকেই দেখতে হবে। সেই উন্নত পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস জানান তিনি।”
আরও পড়ুন: Road Accident: লরির সঙ্গে ধাক্কা চার চাকার, পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু ১, আহত ১ শিশু