Ketugram: সিবিআই তদন্তের মধ্যে বিজেপি কর্মী খুনে সাক্ষীদের হুমকির অভিযোগ, অস্বীকার তৃণমূলের

ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসায় ২০২১ সালের ৪ মে কেতুগ্রামের শ্রীপুর গ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝি। তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ।

Ketugram: সিবিআই তদন্তের মধ্যে বিজেপি কর্মী খুনে সাক্ষীদের হুমকির অভিযোগ, অস্বীকার তৃণমূলের
মৃত বিজেপি কর্মীর মা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 27, 2023 | 8:32 AM

কেতুগ্রাম: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় চলছে সিবিআই তদন্ত। মৃত বিজেপি কর্মী খুনের মামলার তদন্তের মধ্যেই তাঁর পরিবারের লোকেদের খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এমনকি খুনের সাক্ষীদেরও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই হুমকি দেওয়ায় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় যুক্ত থাকা তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে। আতঙ্কিত, অসহায় পরিবার সাহায্যের জন্য বার বার পুলিশের কাছে ছুটে গেলেও তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘ টালবাহানার পর পুলিশ সুপারের নির্দেশে অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা না দিলে তাঁরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবে। অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের বক্তব্য, তিনি এখন ওই এলাকাতেই থাকেন না। বিজেপি মিথ্যা করে এই সব অভিযোগ করাচ্ছে।

গত বিধানসভা ভোটের পর রাজনৈতিক হিংসায় ২০২১ সালের ৪ মে কেতুগ্রামের শ্রীপুর গ্রামে খুন হন বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝি। তাঁকে বাড়ি থেকে বার করে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের দিকে। কেতুগ্রাম থানাতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। নিহত বিজেপি কর্মীর মা মানবাধিকার কমিশনের কাছে বিচার চেয়ে আবেদন করে। গ্রেফতার হন কয়েকজন তৃণমূলের নেতা কর্মী। যারা বর্তমানে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও এই খুনের তদন্ত ভার নেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা কেতুগ্রামের শ্রীপুরে এসে নিহত বলরাম মাঝির পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ান ও রেকর্ড করেন তাঁরা।

মৃত বিজেপি কর্মী বলরাম মাঝির পরিবারের অভিযোগ, সিবিআই-এর হাতে থাকা এই খুনের ঘটনায় যাতে কেউ সাক্ষী না দেয় সে কারণেই গ্রামে থাকা পুলিশ ক্যাম্পের সামনে বা রাস্তায় পরিবার ও সাক্ষীদের ধর্ষণ, খুনের হুমকি দিচ্ছে অভিযুক্তরা। বা কখনও তাঁদের পাঠানো লোকেরা হুমকি দিচ্ছে। মৃত বলরাম মাঝির মা টুম্পা মাঝি কেতুগ্রাম থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন। বাধ্য হয়ে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরে অভিযোগ জানান টুম্পা মাঝি।

এ নিয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “তৃণমূল সিবিআই তদন্তকে ভয় পেয়ে তাঁদের হুমকি দিচ্ছে। কেতুগ্রাম থানা যদি ওই পরিবার ও সাক্ষীদের সুরক্ষা দিতে না পারে তাহলে তারা প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করবে।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “ এ গুলো হয়তো সাজানো ঘটনা। বিজেপি এইভাবে বেঁচে থাকতে চাইছে।” বিজেপির ওই কর্মী খুনে অভিযুক্ত অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শহিদুল আলম মোল্লা বলেছেন, “জামিন হওয়ার পর থেকেই আমি গ্রামের বাইরে আছি। বিজেপির উস্কানিতে এ রকম অভিযোগ করছে। এ সব চক্রান্ত।”